বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য বিয়ে করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar)। বিয়ের একমাসও পার হয়নি। এর মধ্যে আগের পক্ষের ছেলের রহস্যমৃত্যু। শোকের ছায়া ঘোষ পরিবারে। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনে রিঙ্কুর শাপুরজি আবাসন থেকে উদ্ধার হয় একমাত্র ছেলে সৃঞ্জয় মজুমদারের ওরফে প্রীতমের নিথর দেহ।
ছেলের টানে ছুটে এলেন রিঙ্কুর ১ম স্বামী
ছেলের মৃত্যুর শোকে ভেঙে পড়েছে রিঙ্কু। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবরে ছুঁটে এসেছেন রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামী প্রীতমের বাবা। জানা যাচ্ছে, রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের স্বামীর নাম রাজা দাশগুপ্ত। তিনি বিজপুর উত্তরপাড়া নবনগরে থাকেন। ছোটবেলা থেকে প্রীতম থাকতেন মায়ের সাথেই।
তবে বাবার পদবি ব্যবহার করতেন ছেলে প্রীতম। ছেলের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েন তিনিও। রিঙ্কুর এক আত্মীয় বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির জেরে রিঙ্কু ছেলেটাকে নিয়ে চলে আসে। অনেক কষ্ট করে লড়াই করে ছেলেটাকে বড় করেছিল।” সল্টলেকের একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ছিলেন সৃঞ্জয়। বয়স ছাব্বিশের মতো। প্রীতম নামেই তাঁকে চিনত পরিচিতরা।
জানা যাচ্ছে, একাধিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন প্রীতম। নিয়মিত ওষুধ খেতেন। স্নায়ুর সমস্যা ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুত্র শোকে কাতর রিঙ্কু জানান, আবাসনে এক বন্ধু ও এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন ছেলে। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। সোমবার রাতেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর।
ভিডিও দেখুন: https://www.youtube.com/live/d-iyaf2OqE4?si=uQL68plRTWSevaJs
আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রিঙ্কু জানান, ‘‘ছেলে সকালে দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠে। ও অসুস্থ জানতে পেরে সকালেই ফ্ল্যাটে যাই। ওঁর মুখ থেকে গ্যাঁজলা উঠছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ‘মাদার্স ডে’ উপলক্ষে তাঁকে উপহার কেক কেটে সেলিব্রেশন করেছিলেন ছেলে।
রিঙ্কু আরও জানান সোমবার তাঁকে ফোন করে ছেলে বলেছিলেন,” একা থাকতে ইচ্ছে করছে। বাড়িতে কাউকে আসতে বারণ করে দাও। অফিস থেকে আজ (মঙ্গলবার) ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নিয়েছিল।’’ কাঁদতে কাঁদতে বললেন সন্তানহারা মা।
পুুলিশ সূত্রে খবর, প্রীতমের মোবাইল বালিশের পাশে রাখা ছিল। বেশ কিছু ওষুধও উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রাগে প্রীতমের অ্যাডিক্টশন ছিল কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল আত্মহত্যা করেছেন রিঙ্কুপুত্র। তবে আত্মহত্যা না অন্য কারণ সেই নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে সবটা পরিষ্কার হবে।