বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার রদবদলের দিনেই পরপর বেসুরো হন বিজেপির (BJP) দুই বর্ষিয়ান নেতা। একদিকে যেমন ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya), অন্যদিকে ছিলেন বিষ্ণুপুরের সংসদ সৌমিত্র খাঁ (Sumitra Khan)। বিশেষত সৌমিত্র খাঁ যুব মোর্চার সভাপতি পদ ত্যাগ করেন সেদিনই। শুধু তাই নয়, দলের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অতিরিক্ত প্রাধান্য নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। নাম না করে তিনি বলেন তৃণমূল থেকে আসা নেতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে দল।
অন্যদিকে বাবুল, দিলীপ (Dilip Ghosh) দ্বন্দ্ব তো লেগেই রয়েছে। একদিকে যেমন প্রকাশ্যে বাবুল সম্পর্কে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তেমনি অন্যদিকে তার বাঁকা উত্তরও দিয়েছেন বাবুলও। সম্প্রতি তিনি টুইটারে তৃণমূলকে ফলো করছেন বলেও খবর এসেছে, যার জেরে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে নিয়ে। এবার কারও নাম করে না বললেও কার্যত ভাবভঙ্গিতে এই দুই বেসুরো নেতাকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাবুল তৃণমূলকে ফলো করছেন শুনে তিনি বলেন, কে কি করছে জানিনা আমি তো বিজেপিকেই ফলো করি।
শুধু তাই নয় এ দিন তাদের বেসুরো ভাব নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, “যাঁরা কিছু না ভেবে অনেক কথা বলছেন, তাঁরা দলের ক্ষতি করছেন। যে কথা বাইরে বলা উচিত নয়, তা বলা হচ্ছে। এর ফলে যাঁরা শৃঙ্খলাপরায়ন কর্মী, তাঁরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এই বিষয়টা আমি জানিয়েছি।” অর্থাৎ উপর মহলে যে বাবুল এবং সৌমিত্র সম্পর্কে রিপোর্ট গিয়েছে আকারে-ইঙ্গিতে কার্যত এদিন তা বুঝিয়ে দেন তিনি।
দল কি এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? শৃঙ্খলা কমিটির তরফ থেকে কি কোন চিঠি পাঠানো হবে এই দুই নেতাকে। সরাসরি এনিয়ে মুখ না খুললেও দিলীপ ঘোষ বলেন, “এঁদের সঙ্গে কথা চলছে। বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি রয়েছে। না বুঝলে, তখন দেখা যাবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সৌমিত্র খাঁ কিছুটা সামলে নিলেও এখনো পর্যন্ত নিজের বক্তব্যের ধারা খুব একটা বদলাতে দেখা যায়নি বাবুলকে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ যেমন সরাসরি জানিয়েছেন, ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও দল ছাড়ছেন না তিনি। বাবুল তেমন কিছুও জানাননি। তাই কার্যত তাকে নিয়ে জল্পনা এখন চরমে। এখন আগামী দিনে কি সিদ্ধান্ত নেন বাবুল, বা অভিমানী বাবুলকে ঠান্ডা করতে কি সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।