বাংলা হান্ট ডেস্ক : গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে 14 আগষ্ট তারিখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে মমতার কাণনের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। তাই আস্তে আস্তে সমস্ত পদ থেকেই নিজে থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন। তবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও দলে সেভাবে সক্রিয়তা দেখাতে দেখা যায়নি শোভনকে। বিশেষ করে বৈশাখীকে না ডাকার জেরে শোভণ ও বৈশাখীর সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বেড়ে যায়। তবে শোভনের দলের প্রতি সক্রিয়তা না দেখানোয় বিজেপির তরফে এতদিন অবধি কোনো টু শব্দ শোনা যায়নি। তবে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কিন্তু কিন্তু করে হলেও শোভন গিয়ে ফোঁটা নিয়েছিলেন তারপরেই শোভনকে নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন তিনি। আর এরপরেই বিজেপিতে ধাক্কা লেগেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই তো এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, ”কোনও দায়িত্বের কথা হয়নি। সক্রিয় কাজেও যুক্ত ছিলেন না। বিজেপিতে আসার পর একদিন এসেছিলেন রাজ্য দফতরে। সম্মান জানিয়ে দিয়েছিলাম। দলের কর্মসূচিতে ছিলেন না। আমি নিজেও ফোন করেছিলাম।”
একইসঙ্গে শোভনকে কটাক্ষ করে রাস্তার এক টাকার কয়েনের সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ। তাই বললেন, দিলীপের কটাক্ষ, রাস্তায় ১ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। দান করে দিলাম। এতে দলের কোন ক্ষতি হয়নি। যারা তাঁর নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছিলেন, তারাই আবার কেন ফেরত দিল? সেটা ওরাই বলতে পারবে।
তবে একদিকে মুকুল রায়ে দল ভাঙার চ্যালেঞ্জ আবার অন্যদিকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়ে একদিকে যেমন দলের সদস্যরা ফিরে আসছেন তেমনি নেতামন্ত্রীরা। আর তাতেই মুকুল ও দিলীপের মুখ পুড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়ার কথা ভাবলেও আদতে কার ধাক্কা হল তা নিয়েই জোর জল্পনা রাজ্য রাজনৈতিক অন্দরে।