বাংলা হান্ট ডেস্ক : বঙ্গ বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party) একটি কথা খুব প্রচলিত। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সংগঠন বোঝেন। তাঁর হাত ধরেই বাংলায় বিজেপির উত্থান হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেটুকু সাফল্য এসেছে তাতে দিলীপ ঘোষের অবদান সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন আদি নেতারা।
পয়লা বৈশাখের ঠিক আগের দিন অমিত শাহ (Amit Shah) যখন সিউড়িতে সভা করেছেন, তখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ– সভাপতি দিলীপ ঘোষ আন্দামানে। আবার ২৫ বৈশাখেও অমিত শাহের কলকাতা সফরে একবারও দেখা মিলল না দিলীপ ঘোষের। এই দূরত্ব বজায় রেখে চলা নিয়ে দলের ভিতরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এবারেও জোড়াসাঁকোয় নেই দিলীপ ঘোষ। পেট্রাপোলে নেই দিলীপ ঘোষ। এমনকী সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র–সন্ধ্যাতেও অনুপস্থিত দিলীপ ঘোষ।
বর্তমান বিজেপিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর অমিত শাহই হলেন অলিখিত দু’নম্বর ব্যক্তি। তিনি রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে বাংলায় আসছেন আর সর্বভারতীয় বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ের কথা বলে দূরে থাকছেন।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সায়েন্স সিটির অডিটোরিয়ামে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষকে ডাকাই হয়নি বলে খবর। ওই অনুষ্ঠানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত থাকলেও তাঁকে বক্তৃতা দিতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে রাজ্য বিজেপিতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান ছিল অরাজনৈতিক। কিন্তু বকলমে যে সেটি বিজেপিরই আয়োজন করা তা নিয়ে অনেকেরই ধারণা ছিল স্পষ্ট। তা ছাড়া রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেই জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে। এর আগে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যেমন উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলেছিলেন। অবশ্য মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শঙ্কুদেব পণ্ডা বার বার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তা কেউই শোনেন নি।