দিলজিতের শোতে মদ-মাদক-লভ জিহাদের অভিযোগ! ‘কারোর বাপের নয় হিন্দুস্তান’, মঞ্চ থেকেই হুঙ্কার দিলজিতের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সারা ভারত জুড়ে বিভিন্ন শহরে কনসার্ট করে বেড়াচ্ছেন দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ (Diljit Dosanjh)। কিছুদিন আগেই কলকাতায় শো করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু কিছু কিছু শহরে তাঁর অনুষ্ঠান ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক, বিশৃঙ্খলা। মূলত দিলজিতের (Diljit Dosanjh) শোতে কোনো রকম মদ বা মাদক দ্রব্য ক্রয়, বিক্রয়, সেবন করা যাবে না বলে দাবি তুলেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের সদস্যরা। এই বিতর্কেরই পরোক্ষ ভাবে জবাব দেন গায়ক।

দিলজিতের (Diljit Dosanjh) শো নিয়ে বিতর্ক

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে দিলজিতের (Diljit Dosanjh) শোয়ের আগে পথে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করবে, এমন কোনো জিনিস গায়কের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করানো যাবে না বলে আয়োজকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সংগঠনের সদস্যগুলি। প্রকাশ্যে মদ, মাংসের কেনাবেচার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়।

অনুষ্ঠানস্থলে বিক্ষোভ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের: বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে বিতর্ক। নেট দুনিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা গিয়েছে, দিলজিতের (Diljit Dosanjh) অনুষ্ঠান স্থলের কাছে একদল জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। পুলিশের সঙ্গেও তারা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এদিকে এই বিষয়গুলি নিয়ে বিরক্ত দিলজিৎ (Diljit Dosanjh) মঞ্চ থেকেই এবার কড়া বার্তা দিলেন নিন্দুকদের।

আরো পড়ুন : হাইকোর্টের বিচারকের মুসলিম বিরোধী মন্তব্যের জের! প্রধান বিচারপতির কাছে জানানো হল নালিশ

কী জবাব দিলেন গায়ক: অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চ থেকেই কবি রাহাত ইন্দোরির লেখা গজলের কিছু লাইন উদ্ধৃত করেন দিলজিৎ (Diljit Dosanjh)। তিনি বলেন, ‘কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়’। বাংলায় এর তর্জমা করলে হয় হিন্দুস্তান কারোর পৈতৃক বিষয় নয়। আসলে দিলজিতের (Diljit Dosanjh) শোতে মদ, মাদক দ্রব্য ব্যবহারের পাশাপাশি লভ জিহাদের অভিযোগও উঠেছিল। মঞ্চ থেকে তারই জবাব তিনি দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : ভারতে করতে হবে আক্রমণ! বাংলাদেশকে পরমাণু বোমা দিতে চেয়ে বিরাট হুমকি পাকিস্তানের

দিলজিতের শো নিয়ে বিভিন্ন শহরেই বিতর্ক অব্যাহত। এর আগে হায়দ্রাবাদেও অনুষ্ঠানে ‘মদ’ শব্দের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বাধ্য হয়ে একটি গানে ‘মদ’ এর পরিবর্তে ‘কোক’ শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্রের আবগারি দফতরের তরফে পুনের শোতেও মদের কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।