তৃণমূল ছেড়েই হাটে হাড়ি ভাঙলেন দীনেশ ত্রিবেদী, চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে দেওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন রেল মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাবার্তায় তৃণমূল পার্টি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। প্রাক্তন রেল মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল এখন আর নিজের রাস্তায় নেই, দল পথভ্রষ্ট হয়েছে আর এই কারণে আমার কাছে ইস্তফা দেওয়ার ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না। তৃণমূলের আত্মা হারিয়ে গিয়েছে, যেই পরিবর্তনের দাবি নিয়ে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল, সেই পথে এখন আর দল চলছে না। রাজ্যে হিংসা থামার নাম নিচ্ছে না।

তৃণমূলের দুর্নীতির প্রশ্নে ত্রিবেদী বলেন, আমি যখন নারদা কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম তখন আমার দলই আমাকে নিশানায় নিয়েছিল। তিনি বলেন, জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা হয়েছিল। আমি তখনও নিন্দা করেছিলাম। সরকারের দায়িত্ব হল সাধারণ মানুষ আর বিশেষ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেওয়া, যদি ভুল কিছু হয় তাহলে তাঁর জন্য দায়ি প্রশাসন আর প্রশাসনের উপরে থাকা ব্যক্তিরা।

নিজের ইস্তফা নিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, নির্বাচনের পর যদি ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে না যায়, তখন তৃণমূল বলত যে আমি হারের পর দল ছেড়েছি। এর আগে আমি রেল মন্ত্রীরও পদ ছেড়েছিলাম। আমি এখন রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছি, তৃণমূল যাকে ইচ্ছে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে পারে। এখনও ৫ বছরের বেশি সময় আছে।

দলের নেতাদের বয়ানবাজি নিয়ে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ব্যস্ত মানুষ, আগে ওনার সাথে আমার প্রতিনিয়ত কথা হত, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওনার সঙ্গে কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তৃণমূল দল এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগে অন্য নেতাদের থেকে অনুমতি নিতে হয়।

দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে প্রধানমন্ত্রী মোদী আর অমিত শাহকে গালিগালাজ করতে বাধ্য করা হয়। যে যত বড় গালিগালাজ করবে, তাঁকে তত বেশি নম্বর দেওয়া হবে। এটা বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে আর আমি এটা কখনই করতে চাইনি। জয় শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে ওঠা বিতর্কে দীনেশবাবু বলেন, এই স্লোগান নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত সমস্যা কেন, সেটার জবাব একমাত্র উনিই দিতে পারবেন।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর