বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বড়দিনে তৃণমূল (All India Trinamool Congress)- বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সংঘর্ষ গোটা বাংলা জুড়ে। একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সকল রাজনৈতিক দল। লক্ষ্যপূরণের লড়াইয়ে কখনও একদল ভেঙে নতুন করে সেজে উঠছে অন্য দল। ভাঙা গড়ার খেলা হয়েই চলেছে অবিরত। সেই সঙ্গে চলছে আক্রমণাত্মক ইঙ্গিতের লড়াই।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ
এরই মধ্যে বড়দিনেও বাদ গেল না তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ। সকাল থেকেই ধুন্ধুমার চলল বিভিন্ন এলাকায়। কখনও মাথাভাঙ্গা, তো কখনও দিনহাটা। এমনকি বৃহস্পতিবার রাতেও গুলি চলল কোচবিহারে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।
মাথাভাঙ্গায় ব্যাপক সংঘর্ষ দুই দলে
শুক্রবার দুপুরে মুখোমুখি তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বেঁধে যায় মাথাভাঙ্গায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার প্রতিবাদে এদিন দুপুরে জ্বলে ওঠে পদ্মফুল বাহিনী। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর থেকে শুরু করে চলে বোমাবাজি, এমনকি উত্তেজিত বিজেপি সদস্যরা ঘেরাও করে মাথাভাঙ্গা থানা। এসবের মধ্যে পড়ে আহত হন এক বিজেপি কর্মীও। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মাঠে নামে।
তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র দিনহাটা
দুপুরে মাথাভাঙ্গার পর রাতে দিনহাটার নাজিরহাট। তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দিনহাটার নাজিরহাট। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল কর্মীদের হামলার শিকার হন ২৫ নম্বর মণ্ডলের মহিলা মোর্চার নেত্রী সান্ত্বনা বর্মণের স্বামী। তাঁর উপর অত্যাচার চালিয়ে, তাঁর চোখ খুবলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও এবিষয়ে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্ধের দিকে ইঙ্গিত করেছে সবুজ বাহিনী।