বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভালবাসা বয়স দেখে হয় না। টলিউডে এর সবথেকে বড় উদাহরণ হল দীপঙ্কর দে (dipankar dey) এবং দোলন রায়ের (dolon roy) জুটি। দীর্ঘদিন ধরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। বিয়ে না করেও একসঙ্গে থাকার ব্যাপারটায় যখন তরুণ তরুণীরাও ইতস্তত করত তখন সমাজের বিপরীতে গিয়ে নিজেদের ভালবাসাটাকে সবার উপরে স্থান দিয়েছিলেন দীপঙ্কর দোলন।
ইন্ডাস্ট্রিতে দুজনের সম্পর্কটা ছিল ওপেন সিক্রেট। কোনোদিনই বিষয়টা নিয়ে রাখঢাক করতে দেখা যায়নি তাঁদের। অবশেষে গত বছর জানুয়ারিতেই সুখবরটা দেন দীপঙ্কর দোলন জুটি। আইনি ভাবে বিয়ে সেরে নিজেদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরা। এবার দূর্গাপুজোয় একসঙ্গে লাঞ্চ ডেটেও গেলেন টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় জুটি।
নবমীর দিন শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজের জন্য তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন দোলনকে। তবে পুজোতে বাঙালি নয়, চিনা খাবারেই মন মজল তাঁদের। এদিনের লাঞ্চের একটি ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দীপঙ্কর দে।
গত ১৬ জানুয়ারি রেজিস্ট্রি করে বিয়ে সারেন বর্ষীয়ান অভিনেতা দীপঙ্কর দে ও অভিনেত্রী দোলন রায়। দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্কের পাশেই এক রেস্তোরাঁয় বসেছিল বিয়ের আসর। সান্ধ্যকালীন ওই উপস্থিত ছিলেন বর-কনের পরিবারের লোকজন ও বন্ধুবান্ধবরা। একেবারেই পারিবারিক ভাবে, ছিমছাম ভাবে করা হয়েছিল বিয়ের আয়োজন। তবে দুজনকেই দেখা গিয়েছিল খুব সুন্দর ভাবে সাজতে। আয়োজন সামান্য হলেও বিয়ের সাজে কোনও কমতি রাখতে চাননি দুজনের কেউই।
দোলনের পরনে ছিল লাল বেনারসী। সোনার গয়না , হাতে শাখা পলা ও মাথায় লাল ফুল। সিঁথি ভরা সিঁদুরে একেবারে নতুন বৌয়ের মতোই দেখাচ্ছিল তাঁকে। অপরদিকে দীপঙ্কর দে পরেছিলেন সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতি। অতিথি অভ্যাগতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসু, ধ্রুব কুণ্ডু, সৌমিত্র মিত্র, শীর্ষ সেন ও লেখক তথা সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়।