মার্কিন সফরের প্রত্যেক পদক্ষেপেই রয়েছে গভীর কূটনীতি! মোদির এক চালে ঘুম উড়বে চিন-পাকিস্তানের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চারদিনের রাজকীয় মার্কিন সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi in US)। ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সময়কার ‘হাউডি মোদি’র পর এবার জো বাইডেনের (Joe Biden) আমলে আমেরিকার হাজির তিন। বিশ্বের কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির এই সফরকে। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প-বন্ধু মোদির বাইডেনের সঙ্গে নৈশভোজ দেখতে সাধারণ মনে হলেও এর মধ্যেই রয়েছে কূটনৈতিক চাল।

দুই দেশের সম্পর্ক বিস্তারের লক্ষ্য তো বটেই। একাধিক চুক্তি এবং অন্যান্য একাধিক দেশের সামনে নিজেদের সম্পর্ককে তুলে ধরার পরিকল্পনাই এই সফরের প্রধান লক্ষ্য। কূটনৈতিক মহলের দাবি, বিরাট আয়োজনের ভোজ থেকে শুরু করে ‘বন্ধু’র স্ত্রীকে হিরে উপহার, হোয়াইট হাউসে (Whitehouse) যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন, সবক্ষেত্রেই রয়েছে কূটনীতি।

ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসে (US Congress) ভাযণ দেবেন মোদি। পরপর আমেরিকার দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আমলেই এই কৃতিত্বের অংশীদার হচ্ছেন মোদি। এখানেই শুরু হয়েছে জল্পনা। সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এলন মাস্কের (Elon Musk) সঙ্গে সাক্ষাৎ থেকে জিল বাইডেনের ডাকে নৈশভোজ। সব ক্ষেত্রেই মোদির কূটনৈতিক চাল।

modi biden 2
ভারতের ‘শত্রু’ দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে সুসম্পর্ক চিনের। অন্যদিকে সীমান্তে উত্তেজনাকে কেন্দ্রে রেখে ভারতের সঙ্গে রীতিমতো অশান্তি তৈরি হয়েছে বেজিংয়ের! এই পরিস্থিতিতেই ভারতকে ব্যবহারের পথে এগিয়েছে আমেরিকা। ঠিক এই অস্ত্রেই ক্রমশ ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন ওবামা, ট্রাম্প, বাইডেনরা।

মোদির এই সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে দুই দেশের মধ্যে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হওয়ার তাগিদে আমেরিকা থেকে একের পর এক সরঞ্জাম কিনেছে নয়াদিল্লি। এই সফরের আবহেই প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের ৩১টি ৩১এম কিউ-৯বি ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। শুধু তাই-ই নয়, একাধিক যুদ্ধবিমান সরবরাহের ক্ষেত্রেও বারবার আমেরিকার সাহায্য পেয়েছে ভারত।

মোদির এই চারদিনের সফরে আমেরিকার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সাহায্য নিয়েও রয়েছে কূটনৈতিক জল্পনা। অনেকেই বলছেন, এই বিষয়েও কৌশলই রপ্ত করেছে বাইডেনের দেশ। প্রসঙ্গত, ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার (Russia) কাছ থেকেও নানান প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনে ভারত। ঠিক এই আবহেই রাশিয়ার প্রভাবেও হাত বাড়াতে চাইছেন বাইডেন। এখানেই এশিয়ার সর্বাধিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টাও রয়েছে এস জয়শংকরদের।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর