বাংলাহান্ট ডেস্ক: যত সময় যাচ্ছে ততই জটিল হয়ে যাচ্ছে সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলা। সুশান্তের মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেই মৃত্যু হয় তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের (disha saliyan)। এক বহুতল আবাসন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা যায়, আবাসনের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন দিশা।
নেটিজেনদের দাবি, সুশান্ত ও দিশার মৃত্যু রহস্য একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, হত্যা এমনটাই প্রথম থেকে দাবি করে আসছেন অনেকেই। অপরদিকে চিকিৎসকদের বক্তব্য, অবসাদগ্রস্ত ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। এরই মাঝে দিশার মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছেন।
ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, মৃত্যুর ঠিক আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল দিশাকে। রাত ৯টা থেকে ৯:৩০র মধ্যে ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ওই ব্যক্তিও। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী ওই ব্যক্তি জানান, ৮ জুন মালাডে পার্টি চলছিল। প্রথম এক ঘন্টা ভালই চলেছে পার্টি। তারপরই দুজন বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, “কারোর কানে যাতে কোনো আওয়াজ না পৌঁছায় তার জন্য পার্টিতে মিউজিক আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই মাস্টার বেডরুমে দিশার সঙ্গে তাঁর হবু স্বামী রোহন রায়ও ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তারা বেরিয়ে আসে। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এসব দেখে। আমি যা যা দেখেছি তা তদন্তকারী সংস্থাকেও বলতে পারি।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দিশার মৃতদেহ দেখে রোহন ও তার বন্ধু বান্দ্রা স্টেশনের দিকে পালিয়ে যান। স্টেশনের সিসিটিভিতে নিশ্চয়ই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। দিশার মৃত্যু নিয়ে নানা রকম কথা বার্তা হচ্ছিল। সুশান্ত এই মামলার শেষ দেখতে চাইছিলেন। তিনি জানতে চাইছিলেন দিশার সঙ্গে ঠিক কি হয়েছিল। এমনকি নিজের বন্ধুকে ফোন করেও সুশান্ত সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন যে দিশার মৃত্যু আসলে হত্যা।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সুশান্তের শেষ ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। জানা যাচ্ছে, এই পোস্টের মাধ্যমে দিশাকে শেষবার স্মরণ করে তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনাও দেন সুশান্ত।
ইনস্টা স্টোরিতে তিনি লেখেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক খবর। দিশার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা। দিশার আত্মা শান্তি পাক এই কামনা করি।’ ইনস্টাগ্রামে একটি পেজে শেয়ার করা হয় সুশান্তের এই স্টোরি। তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় তা।
সুশান্তের পাশাপাশি দিশা সালিয়ানের মৃত্যু রহস্যেরও কিনারা করার কাজে নেমেছে সিবিআই। এই দুই মৃত্যুর মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।