বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০২০ সাল থেকে লাদাখে LAC নিয়ে ভারত ও চিনের (China) মধ্যে অচলাবস্থা এবার শেষ হয়েছে। ভারতের পর চিনও মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এই বিষয়ে চিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, LAC-তে সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে একটি সাধারণ ঐকমত্য হয়েছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানিয়েছেন, “ভারত ও চিন সীমান্ত ইস্যুতে কূটনৈতিক ও সামরিক বিষয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখেছে। এখন এই দুই দেশের প্রসঙ্গে একটি সমাধানে পৌঁছনো গিয়েছে। চিন এটির অত্যন্ত প্রশংসা করে।”
লাদাখে LAC নিয়ে ভারত ও চিনের (China) মধ্যে মিটল বিরোধ:
কি জানিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক: জিয়ান বলেন, এই প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়নে চিন (China) ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি। এদিকে, রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “যদি কিছু জানা যায় সেক্ষেত্রে আমরা আপনাদের অবগত করব।”
৪ বছর ধরে অচলাবস্থা চলতে থাকে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ভারত সোমবার ঘোষণা করেছিল যে, ভারতীয় এবং চিনা (China) আলোচকরা পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর টহল দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে পূর্ব লাদাখে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান সামরিক অচলাবস্থা নিরসনের দিকে এই চুক্তিটিকে একটি বড় সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।
“আমরা একইভাবে টহল শুরু করতে সক্ষম হব”: বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন যে, ভারতীয় ও চিনা (China) সৈন্যরা আবারও সেইভাবে টহল শুরু করতে সক্ষম হবে, যেমনটি তারা সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে করত এবং চিনের সাথে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিড়লাকে হারিয়ে বাজিমাত করলেন আদানি! ৮,১০০ কোটি টাকায় কিনবেন এই কোম্পানি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্টের বৈঠক হতে পারে: এই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা (China) রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে রাশিয়ায় প্রত্যাশিত বৈঠকের আগে পূর্ব লাদাখে ৪ বছরেরও বেশি দীর্ঘ সামরিক অচলাবস্থা সমাধানে এই সমঝোতাকে একটি বড় অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার কাজান শহরে সম্মেলনের ফাঁকে মঙ্গলবার বা বুধবার মোদী ও জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা অনুমান করা হচ্ছে যে, এই চুক্তিটি ডেপসাং এবং ডেমচোকে টহল শুরু করাবে। কারণ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে উভয় এলাকায় প্রশ্ন ছিল।
আরও পড়ুন: নিলামের আগে দিল্লিকে “আনফলো” করলেন ঋষভ! কোন দলে লেখাবেন নাম? মিলল ইঙ্গিত
কোন কোন এলাকা নিয়ে বিরোধ ছিল: গত কয়েক বছরে কয়েক দফা সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পর উভয় পক্ষই সংঘর্ষের অনেক পয়েন্ট থেকে পিছু হটেছে। তবে আলোচনায় ডেপসাং ও ডেমচোকের অচলাবস্থা নিরসন করা যায়নি। ভারত ক্রমাগত বলে আসছে যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত চিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না।