অয্যোধ্যায় নতুন মসজিদ নিয়ে জমি বিবাদ! ৫ একর জমি নিজেদের বলে জানালেন দুই মহিলা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অয্যোধ্যার ধন্নীপুর গ্রামে মসজিদের জন্য আবন্টিত জমি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দিল্লীর দুজন মহিলা এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে পিটিশন দাখিল করে মসজিদের জন্য ধার্য ২৯ একর জমির মধ্যে ৫ একর জমিকে বিতর্কিত বলে জানিয়েছেন। দুটি পিটিশনেই সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে আবন্টিত করা ২৯ একর জমির মধ্যে ৫ একর জমি নিজেদের বলে জানিয়েছেন ওই দুই মহিলা।

এই পিটিশন রানী কাপুর পাঞ্জাবি আর রমা রানী পাঞ্জাবি দায়ের করেছেন। ওনারা দাবি করেছেন যে, ৫ একর জমিতে নিয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। ৮ ফেব্দ্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হতে পারে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার অয্যোধ্যার রৌনাহী এলাকার ধন্নীপুর গ্রামে মসজিদের জন্য জমি দান করে। সেই জমিতে গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে মসজিদের শিলন্যাসও হয়ে গিয়েছে।

রানী কাপুর পাঞ্জাবি আর রমা রানী পাঞ্জাবি বলেন, দেশ ভাগের সময় ওনার মা-বাবা পাকিস্তানের পাঞ্জাব থেকে ভারতে এসেছিলেন। এরপর ওনারা ফইজাবাদের জনপদে বসবাস শুরু করেন। সেই সময় ওনারা নজুল বিভেগে নিলামবাদীর চাকরি পেয়েছিলেন। ওনার বাবার জ্ঞান চন্দ্র পাঞ্জাবিকে ১ হাজার ৫৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ বছরের জন্য ধন্নীপুর গ্রামে ২৮ একর জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছিল।

ওনারা জানান, পাঁচ বছর পর এই জমিটি তাঁদের পরিবারের ব্যবহারে রয়ে যায় এবং তাদের পিতার নামে উল্লিখিত জমির সম্পর্কিত রাজস্ব রেকর্ডে লিপিবদ্ধ ছিল। যদিও ১৯৯৮ সালে SDM দ্বারা ওনার পিতার নামে উক্ত জমির সম্বন্ধিত রেকর্ড হটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর SDM এর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন আইনি লড়াই চলার পর সর্বশেষে তাঁদের হকে রায় জানানো হয়।

আবেদনকারীরা জানান, একীকরণের সময় আবারও উক্ত জমির রাজস্ব রেকর্ড নিয়ে বিরোধ দেখা দেয় এবং একীকরণ কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। এই মামলা এখনো পর্যন্ত বিচারাধীন। পিটিশনে বলা হয়েছে যে, মামলা বিচারাধীন থাকা সত্বেও উক্ত জমির থেকে ৫ একর জমি রাজ্য সরকার মসজিদ কমিটির হাতে তুলে দেয়।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর