“আসিম মুনির একজন সাইকোপ্যাথ”, পাক সেনা প্রধানকে ঘিরে পাকিস্তানের অন্দরেই চরম অসন্তোষ

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত মঙ্গলবার ভারতে মোদী সরকারের ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানে (Pakistan) রীতিমতো বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানি মন্ত্রীরা মাঝরাত পর্যন্ত জেগে দাবি করছিলেন যে, ভারত হয়তো আক্রমণ করতে পারে। এখন পাকিস্তানে আক্রমণের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছেন। খবর অনুসারে তিনি একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে আছেন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রে অসীম মুনিরের নামও উঠে আসছে। পাকিস্তানের (Pakistan) অন্দরেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সামনে আসছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক, সকলেই মুনিরের সমালোচনা করছেন। বলা হচ্ছে যে, মুনিরের উস্কানিমূলক চিন্তাভাবনা পাকিস্তানকে এই সমস্যায় ফেলেছে।

পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা প্রধানকে ঘিরে বাড়ছে অসন্তোষ:

পাকিস্তানে কি আবার জিয়া-উল-হকের “টোপাক প্ল্যান” বাস্তবায়িত হচ্ছে: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি,
জেনারেল মুনিরের ধরণ হুবহু জেনারেল জিয়া-উল-হকের মতো বলে মনে হচ্ছে। যাঁর ধর্মের নামে ঘৃণা ছড়ানো এবং ভারতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করাই মূল লক্ষ্য ছিল। আশির দশকে, জিয়া-উল-হক কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন জোগানোর জন্য “অপারেশন টোপাক” শুরু করেছিলেন। এখন মুনিরও একই পথ অনুসরণ করছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

Dissatisfaction is growing around Pakistan's army chief.

আসলে, কাশ্মীর সম্পর্কে উস্কানিমূলক বক্তব্য নিয়ে হইচই সৃষ্টি শুরু হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে জেনারেল আসিম মুনিরকে বলতে শোনা যায় যে, “কাশ্মীর আমাদের ঘাড়ের শিরা। আমরা এটা ভুলব না। এর জন্য আমরা ৩ টি যুদ্ধ করেছি।” এই বিবৃতির পরেই পহেলগাও আক্রমণ ঘটে। তারপর থেকেই ভারতের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মোদী যেকোনও সময় বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এমনকি, ভারতীয় সেনাবাহিনীও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চূড়ান্ত ব্যর্থ PCB! লাহোরের স্টেডিয়ামে যা ঘটল…..সামনে এল লজ্জার ছবি

“আসিম মুনির একজন সাইকোপ্যাথের মতো চিন্তা করেন”: সূত্রের খবর অনুযায়ী, ISI-এর এক আধিকারিক গোপন আলাপচারিতায় জানিয়েছেন যে, আসিম মুনির একজন সাইকোপ্যাথের মতো চিন্তা করেন। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় তিনি ভেবেছিলেন যে তাঁকে জনসমর্থন অর্জন করবে। কিন্তু ঠিক বিপরীতটি ঘটেছে। সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও জেনারেল মুনিরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: রয়েছে কন্যাশ্রীর টাকা লোপাটের অভিযোগ! গ্রেফতারির পরেও তৃণমূলের শিক্ষক নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ

তিনি আরও জানান যে, প্রশ্ন হল কেন এমন একজন মৌলানা জেনারেলকে পাকিস্তানে (Pakistan) আনা হয়েছিল? এর পেছনের চিন্তাভাবনা কী এবং জেনারেল আসিম মুনিরের এই ভুলগুলি কেন পাকিস্তানের জন্য ব্যয়বহুল প্রমাণিত হচ্ছে? আসলে মুনিরকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কমান্ড তাঁর উগ্র মানসিকতার জন্য দেওয়া হয়েছিল। যাতে তিনি একজন মৌলানার মতো জনসাধারণকে উত্তেজিত করতে পারেন এবং তাঁদের ভারতের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারেন। কিন্তু এখন ফলাফল হল পাকিস্তান নিজেই সেই ফাঁদে আটকা পড়ছে।

দেখুন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও:

Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

X