বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিভিন্ন সব উদ্ভট ঘটনার জেরে প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসে পড়শি রাজ্য বিহার (Bihar)। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয় সামনে এসেছে। যেটি সম্পর্কে জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই। মূলত, এবার বিহারে একাধিক শিক্ষকের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত একটি চিঠিও সামনে এসেছে। আর ওই চিঠিটিই এখন উঠে এসেছ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি বিহারের জামুই জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জারি করা একটি চিঠিতে ইংরেজি শব্দের ভুল বানানের কারণে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরকে প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে শব্দটি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে সেটি হল ইংরেজি শব্দ “Bed”। মূলত, “Bad Performance”-এর পরিবর্তে সেখানে লেখা হয়েছে “Bed Performance”।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা গত সপ্তাহে একাধিক স্কুলে আচমকাই পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময়ে একাধিক শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনের সময়ে আধিকারিকরা কিছু শিক্ষকের “খারাপ পারফরম্যান্স” সহ যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করেন। পরিদর্শনের পরে, জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) ১৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে একটি চিঠি জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা! জঙ্গি হামলার হুমকি ISIS-এর
“Bad”-এর পরিবর্তে “Bed”: মূলত পরিদর্শনের পরে, ১৬ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ২২ মে ২০২৪ তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় স্মারক নং ৩৭৫৫-র মাধ্যমে একটি আদেশ জারি করা হয়েছিল। ওই নথিতে উল্লেখ ছিল, “Bed Performance”-এর কারণে শিক্ষকদের বেতন কাটা হচ্ছে। যেখানে মূলত শিক্ষকদের খারাপ পারফরম্যান্সের (Bad Performance) বিষয়টি তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ওই নথিতে মোট ১৪ বার ভুল বানানের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রুপ পেরোলেই চাপে পড়বে টিম ইন্ডিয়া! সুপার এইটে খেলা এই দলগুলোর সাথে
জারি হয় সংশোধনী: এদিকে এই সামগ্রিক বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা আধিকারিক রাজেশ কুমার কোনো মন্তব্য করতে চাননি। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের তরফে ৩৭৫৮ নম্বর স্মারকলিপিতে একটি সংশোধনী জারি করা হয়। মূলত, বিষয়টি জানাজানি হতেই বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ভুল সংশোধন করে একটি সংশোধনী পত্র জারি করে। যেখানে বিদ্যালয়ের নামের পরিবর্তে শিক্ষকদের নাম লেখা হয়েছে। যদিও, পুরো বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে জামুইয়ের শিক্ষা দপ্তরকে।