বাংলাহান্ট ডেস্ক: সেই ছোট্ট থেকে অভিনয়ে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)। সিরিয়াল, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ করেছেন সবকিছুই। উপরি পাওনা ‘রাণী রাসমণি’র মতো চরিত্র। তবে এখন তাঁর নতুন পরিচয় ‘বুড়ি’। নির্মল মণ্ডলের আদরের মেয়ে। নতুন রূপে খুব শিগগিরই পর্দায় ফিরবেন দিতিপ্রিয়া।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন ‘রাণীমা’, এ খবর ছড়াতেই উত্তেজনায় ফুটছিলেন দিতিপ্রিয়ার অনুরাগীরা। ‘আয় খুকু আয়’ এর টিজার মুক্তি পেয়েছে ইতিমধ্যেই। কয়েক সেকেন্ডের টিজারে প্রসেনজিৎ দিতিপ্রিয়ার রসায়ন নজর কেড়েছে দর্শকদের। ছবির বিশেষ প্রচার ভিডিওতেও ‘ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে অনায়াস দিতিপ্রিয়া।
কেরিয়ারের শুরুর দিকেই এত কম বয়সে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়। জড়তাটা কি প্রথম থেকেই একেবারে ছিল না? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানালেন, শুটিং শুরুর আগে ‘বুম্বা মামু’কে নিয়ে অনেক কথাই শুনেছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু কাজ শুরু হতেই সব ভয় হাওয়া। প্রসেনজিৎ নাকি বুঝতেই দেন না তিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’। সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেন। এমনকি শুটের মাঝে দিতিপ্রিয়ার খিদে পেলেও আগেই টের পেতেন প্রসেনজিৎ। বাবা সুলভ ভঙ্গিতেই শুট থামিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন ‘মেয়ে’কে, কী খাবে সে। পিৎজা খাওয়া থেকে শুরু করে সেলফি তোলা টুকটাক কাজের মধ্যে দিয়েই বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে পর্দার বাবা মেয়ের।
https://www.instagram.com/tv/CdLZub6jJKc/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
ছবির নির্মল মণ্ডল ‘সিঙ্গল ফাদার’। মেয়ে ‘বুড়ি’কে একাই বড় করে তুলবেন তিনি। এখনকার সমাজে সিঙ্গল ফাদার বা সিঙ্গল মাদার শব্দ দুটোর সঙ্গে সকলেই যথেষ্ট পরিচিত। তবে আয় খুকু আয় তে অভিনয়ের পর দিতিপ্রিয়ার মনে হয়েছে, সিঙ্গল মাদার হওয়ার থেকেও সিঙ্গল ফাদার হওয়াটা বেশি কঠিন।
মেয়েরা বাবার যতই কাছের হোক না কেন, অনেক অনুভূতি মায়ের সঙ্গে যতটা সহজে ভাগ করে নেওয়া যায়, বাবার সঙ্গে ততটা সম্ভব নয়। কিন্তু পর্দার নির্মল মণ্ডল সেই বাধাটুকু ভেঙে দিতে পারবেন বলে দাবি দিতিপ্রিয়ার। আগামী ২৭ মে মুক্তি পেতে চলেছে ‘আয় খুকু আয়’।