বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়েছে বিরোধীদের। বাংলায় সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল চলছে। অন্যদিকে কেরলেও সেই একই চিত্র আরও প্রকটভাবে দেখা গিয়েছে কয়েকদিন আগে। কেরলের বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রত্যাহারের দাবি পেশ করা হয়েছিল এবং সেটি বিধানসভায় পাসও হয়ে যায়। এবার তামিলনাড়ুতে সে পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন।
২০১৯ এর শেষের দিকে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। যার প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। যেসব রাজ্যে বিজেপি-বিরোধী দল ক্ষমতায় রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্যেই প্রতিবাদের পারদ ক্রমশ চড়ছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, সংশোধিত যে নাগরিকত্ব আইন পাস হয়েছে তাতে মূল সংবিধানের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এই আইনকে তারা কিছুতেই সমর্থন জানাবে না । কেরলের বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হয়েছে, এই আইন যাতে প্রত্যাহার করা হয়। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন কেরল বিধানসভার প্রায় সমস্ত বিধায়করা। একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টির একজন বিধায়ক এই প্রস্তাবে সমর্থন জানাননি। কিন্তু তাতে কোনও লাভও হয়নি। পাস হয়ে গিয়েছে সে প্রস্তাব।
সেই পথেই এবার হাঁটতে চাইছে ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন। বৃহস্পতিবার সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব তামিলনাড়ু বিধানসভার সচিব কে শ্রীনিবাসনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে ডিএমকে তথা দ্রাবিড় মুনাত্রা কাজগম দলের সমস্ত বিধায়কদের তরফে। তামিলনাড়ু বিধানসভায় এবার এই প্রস্তাব পাস হওয়ার অপেক্ষায়। এই প্রস্তাব তামিলনাড়ুতেও পাস হলে প্রতিবাদের আগুন যে আরও জোরালো হবে এতে সন্দেহ নেই।
ঝাড়খন্ডে হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামতে যে বিজেপি বিরোধী জোট নজরে এসেছিল, তা যে শুধু দেখানোর নয়, বলা বাহুল্য।