বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবজোয়ার কর্মসূচীতে ঝাড়গ্রামে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কনভয়ে হামলা, অন্যদিকে অভিষেকের কর্মসূচির মাঝে বীরবাহা হাঁসদার কনভয়ে হামলা নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অভিযোগ, ঘটনার দিন হামলাকারীরা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে ইট ও পাথরবৃষ্টি করে।
অন্যদিকে, হামলার ঘটনায় কুড়মিদের ক্লিনচিট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমার কুড়মি ভাইয়েরা একাজ করতে পারে না’। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, কুড়মিদের নাম করে, বিজেপির স্লোগান নিয়ে, এই অত্যাচার করেছে বিজেপি দল’।
তবে এত কিছুর পরও কেন হামলার ঘটনায় একের পর এক কুড়মি নেতা গ্রেফতার হচ্ছেন, সে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি জঙ্গলমহলে কোনও বিজেপি কর্মী গায়ে হাত দিলে আগুন জ্বলবে বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপবাবু।
ঠিক কি বললেন বিজেপি নেতা? প্রতিদিনের মতো আজও সকালে ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান দিলীপ ঘোষ। এরপর সংবাদমাধ্যমের সামনে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, “জঙ্গলমহলে বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত দেবেন না, জ্বলে যাবে। বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দিলে জঙ্গলমহলে ঢুকতে পারবেন না। তৃণমূলের কোনও নেতাকে জঙ্গলমহলে থাকতে দেব না। এই আন্দোলন কালীঘাট অবধি যাবে।”
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল কুড়মি সম্প্রদায়ের লোকেরা। সেই সময় অভিষেকের কনভয় গড় শালবনি এলাকায় যাওয়ার পথে বিক্ষোভ বাড়ে। এমনকি নেতার কনভয়ে হামলারও অভিযোগ উঠে। অন্যদিকে, অভিষেকের কনভয় বেরিয়ে যাওয়ার পর কনভয়ে থাকা আদিবাসী নেত্রী তথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ইট এসে পড়ে। যাতে মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। অল্পবিস্তর জখম হন বিরবাহা। এরপর থেকেই এই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই কুড়মি নেতা রাজেশ-সহ মোট ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় শনিবারই বদলিও করা হয়েছে রাজেশ মাহাতোকে। জানা গিয়েছে, খড়গপুরের স্কুল থেকে তাকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বদলি করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা রুজু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মোট ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই তালিকাতেই রয়েছেন কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাতও। গতকালও গ্রেফতার হয়েছেন এক কুড়মি নেতা।