বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই গরমের প্রভাব বেশ ভালো ভাবে অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র। এই সময়টাতে রেফ্রিজারেটরের (Refrigerator) ব্যবহার বেশ বেড়ে যায়। যদিও, এটি এমন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যেটিকে সারাবছরই সমানভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমতাবস্থায়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, বছরের পর বছর যাবৎ এই যন্ত্র একনাগাড়ে কাজ করলেও সেটির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। যা কখনোই উচিত নয়।
কারণ, সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে ফ্রিজও হয়ে উঠতে পারে ভয়ানক। এমনকি, সেটিতে বিস্ফোরণ পর্যন্ত ঘটে যেতে পারে। যার ফলে থাকে প্রাণহানির আশঙ্কাও। হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, আমাদের কিছু সাধারণ ভুলের জন্যই এই ঘটনা ঘটতে পারে। যদিও, সহজ কিছু পদ্ধতি মাথায় রাখলেই এই ভয়াবহ আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বর্তমান প্রতিবেদনে সেই প্রসঙ্গটি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত করা হল।
এমতাবস্থায়, প্রথমেই জানিয়ে রাখি বিদ্যুতের হেরফের ঘটে এমন জায়গায় ফ্রিজ কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এর ফলে রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকা কম্প্রেসরে চাপ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আবার কখনও কখনও এমনও হয়, যখন ফ্রিজে বরফ জমা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজ চালু অবস্থায় বন্ধ রাখা হয়। যার ফলে সেখানে অত্যধিক পরিমানে বরফ জমতে শুরু করে। এটা না করে আপনার কয়েক ঘণ্টা পরপর ফ্রিজটি খোলা উচিত এবং সেটির তাপমাত্রাকেও বাড়িয়ে দিতে হবে। এর ফলে বরফ জমার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাবে।
এছাড়াও, রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসারের কোনো অংশে ত্রুটি থাকলে তা কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। কারণ কোম্পানি অরিজিনাল পার্টসের গ্যারান্টি দেয়। এমতাবস্থায়, আপনি যদি এই গুরুত্বপূর্ণ পার্টস গুলি কোনো লোকাল পার্টসের ভিত্তিতে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সেগুলি সঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে। ফলে কম্প্রেসারে সরাসরি চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং বিস্ফোরণও ঘটতে পারে।
আপনি যদি অনেকক্ষণ ফ্রিজে কোনো কিছু না রাখেন কিন্তু সেটি যদি একটানা চলতে থাকে, তাহলে আপনার উচিৎ সেটি খোলার আগে বা তাতে কোনো জিনিস রাখার আগে ফ্রিজটিকে বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় চালু করা। এর ফলে রেফ্রিজারেটরে কোনো চাপ পড়বে না। পাশাপাশি, মাথায় রাখতে হবে যে, রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা কখনোই সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসবেন না। কারণ এর ফলে ফ্রিজের কম্প্রেসার খুব গরম হয়ে যায় এবং সেটি ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।