বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনার (Accident) সংখ্যা। এমনকি, সেগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দেশে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ইতিমধ্যেই লাগু করা হয়েছে। যার ফলে প্রত্যেক গাড়ি চালককেই সেগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হয়। যদিও, মাঝেমধ্যেই দেখা যায় যে, অনেকেই সেই নিয়মগুলিকে লঙ্ঘন করে ফেলেন। এমতাবস্থায়, বেড়ে যায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। সেইসব ব্যক্তিদের জরিমানা করে ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police)।
এদিকে, সাম্প্রতিক কালে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরেই ট্রাফিক চালানের প্রক্রিয়া হাইটেক হয়ে গেছে। এখন রাস্তার মোড়ে বসানো ক্যামেরা থেকেও সরাসরি গাড়ির মালিকদের বাড়িতে চালান পাঠানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে জরিমানা প্রদান না করলে চালানগুলি আদালতে পেশ করে পরবর্তী ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা এমন ৩ টি প্রসঙ্গের উপস্থাপন করব যেগুলি সঠিকভাবে মেনে না চললে ট্রাফিক সিগন্যালে “রেড লাইট”-এ দাঁড়ালেও চালান পৌঁছে যাবে বাড়িতে।
রেড লাইট জাম্প: আপনি যদি একটি ট্রাফিক সিগন্যালে রেড লাইট দেখে দাঁড়িয়ে পড়লেও দাঁড়ানোর জায়গাটি ভুল করেন সেক্ষেত্রে চালান কাটা হবে। কারণ রাস্তায় জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে থাকা সাদা অংশে গাড়ি থামাতে হয়। তা না হলে গাড়ির নম্বর ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং পুলিশ চালান বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
হেলমেট: বাইক চালকদের জন্য হেলমেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইক থেকে পড়ে গেলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের মাথা হেলমেট দ্বারা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে এবং গুরুতর আঘাতের সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়। এদিকে, ট্রাফিক সিগন্যালে লাগানো ক্যামেরা থেকে হেলমেট না পরলেও চালান কাটা হয়।
বাইকে ৩ জন আরোহী: নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো বাইকে ২ জন বসে সফর করতে পারেন। এমনকি, কিছু কিছু শহরে বাইকে থাকা ২ জনের ক্ষেত্রেই হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক হয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায়, যদি একটি বাইকে ৩ জন সফর করেন এবং সেটি একটি সিগন্যালে থেমে যায়, সেক্ষেত্রে তা সরাসরি ক্যামেরার ভিউতে চলে আসবে। এমন পরিস্থিতিতে, ট্রাফিক পুলিশ বাইকের নম্বর দেখে চালান কাটতে পারে। চালান অনলাইন মারফত সরাসরি মোবাইলে চলে আসবে। এমনকি, পরে পুলিশ ফোনও করবে।