বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দাপটে কোণঠাসা চিন (china)। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চলছে নিরন্তন লড়াই। তবুও স্বস্তি নেই লাল চিনের কপালে। গোটা বিশ্বের ত্রাস ফের জাঁকিয়ে বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কমিউনিস্ট চিনে। গোটা পৃথিবী যখন করোনা (corona) ঠেকাতে নাজেহাল, তখন ধীরেধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে চিন।
জনজীবন তথা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ধাপে ধাপে সেখানে খুলতে শুরু করেছে, দোকান-বাজার,পার্ক, ক্লাব এবং স্কুল-কলেজ প্রভৃতি। ঠিক তখনই ফের চিনে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনাভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জেরে ফের রাজধানী বেজিং শহরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সুইমিং পুল,জিম প্রভৃতি। নতুন করে যাতে আর কেউ করোনা আক্রান্ত না হয় তা রোধ করতেই চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন।
শুধু তাই নয়, ফের চিনে গৃহবন্দি করে দেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ চিনা নাগরিকদের। যারা লকডাউন উঠে যাওয়ায় সম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। ওই সমস্ত নাগরিকদের দেশে ফেরার একদিনের মধ্যেই ফের চিনে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন সাত জন। শনিবার সাংহাই-এর রিপোর্ট থেকে এই খবর জানা গিয়েছে। আর যার জেরে ফের চিনে বন্ধ হোটেল, রেস্তরাঁ, জিম, ক্লাব সমস্ত কিছুই।
শুধু তাই নয়, করোনা ঠেকাতে নতুন করে ১০ লক্ষ চিনা নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে সেদেশে। এদিকে করোনার কোপে পড়ে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতির কাছে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে চিন। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর জন্য সরাসরি লাল চিনকেই দায়ী করেছেন বিশ্বের তাবড়-তাবড় রাষ্ট্রনেতারা। এই অবস্থায় চিনের উহান প্রদেশের গবেষণাগারই কি করোনার জন্মস্থান? এই প্রশ্নের উওর খুঁজছে আমেরিকা।