বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চৈত্র মাস। এই মাসে মা দুর্গার (Maa Durga) নবরাত্রি (Navratri) পালিত হয়। মূলত, চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে নবরাত্রি শুরু হয়। এই নয়টি দিন মা দুর্গার পূজার্চনার মাধ্যমেই অতিবাহিত হয়। কথিত আছে যে, এই দিনগুলিতে মা দুর্গা ভক্তদের জন্য পৃথিবীতে আসেন এবং তাদের প্রতি প্রসন্ন হয়ে আশীর্বাদও বর্ষণ করেন।
এদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, নবরাত্রির সময় অনেকেই নয় দিন ধরে দুর্গা সপ্তশতীর আচার পালন করেন। জীবনের নানাবিধ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেক সময় দুর্গা সপ্তশতী পাঠ ও অন্যান্য ধরণের আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি এরূপ কোনো সমস্যা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই এগুলির মাধ্যমে চিন্তামুক্ত হতে পারেন।
মা দুর্গা সমস্ত চিন্তা দূর করে দেবেন: জ্যোতিষশাস্ত্রে দুর্গা সপ্তশতী পাঠের উপকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বলা হয় যে, এটি মা ভগবতীর আদ্যাশক্তির স্তব। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, শুধু এটি পাঠ করলেই মানুষের সব কষ্ট দূর হয়ে যায়। আর এই কারণেই এটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জ্যোতিষীরা বলেন যে, দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যদি সম্পূর্ণ পদ্ধতিতে দুর্গা সপ্তশতী পাঠ করা যায়, তাহলে তা অবশ্যই ফলপ্রসূ হয়।
দুর্গা সপ্তশতী পাঠের সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন:
১. দুর্গা সপ্তশতী পাঠের সময় অবশ্যই শুদ্ধতার প্রতি নজর দিন। স্নানের পর পরিষ্কার জামা-কাপড় পরিধান করে কুশ বা পশমের আসনে বসে এই পাঠ করতে হয়। পাশাপাশি এটি পাঠ করার সময়ে কখনোই হাত দিয়ে পা স্পর্শ করবেন না।
২. দুর্গা সপ্তশতী পাঠ শুরু করার আগে একটি লাল রঙের কাপড়ে বইটি রেখে তার উপর ফুল অর্পণ করুন। তারপরে পুজো সম্পন্ন হলে বই পড়া শুরু করুন।
৩. নবরাত্রিতে দুর্গা সপ্তশতী পাঠের আগে এবং পরে “ওম ওইং হরি ক্লিং চামুন্ডায়ে বিচ্চে” এই মন্ত্রটি জপ করলে উপকার পাবেন।
৪. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে দুর্গা সপ্তশতী পাঠে প্রতিটি শব্দের উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া উচিত। অর্থাৎ কোনো শব্দ অস্পষ্টভাবে এবং উল্টোপাল্টা ভাবে উচ্চারণ করবেন না। পাশাপাশি, সপ্তশতী পাঠ এমনভাবে করুন যাতে আপনি প্রতিটি শব্দ কানে সঠিকভাবে শুনতে পান।
৫. বলা হয় যে, এই পাঠের সময়ে হাই তোলা উচিত নয়। কারণ, এটি অলসতাকে প্রদর্শন করে। তাই মনকে শান্ত ও স্থির রাখুন।
৬. পাশাপাশি, সময়ের কারণে যদি কোনো দিন দুর্গা সপ্তশতী সম্পূর্ণরূপে পাঠ করা না যায়, সেক্ষেত্রে সপ্তশতীর শেষে দেওয়া কুঞ্জিকা স্তোত্র পাঠ করে দেবীর কাছে প্রার্থনা করুন।
৭. পাঠ শেষ হওয়ার পর, সবশেষে মা দুর্গার কাছে কোনো প্রকার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
(সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনে দেওয়া বিস্তারিত বিবরণ সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বাংলাহান্ট এটিকে নিশ্চিত করে না।)