আম্বানির বাড়িতে কাজ করলেও দিতে হয় IAS-র মত কঠিন পরীক্ষা! অবাক করবে তাঁর ড্রাইভারের বেতন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) চেনেন না এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ভারত তো বটেই বিশ্বেরও অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি! স্বাভাবিকভাবেই তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনেও রয়েছে রাজকীয় ব্যাপার! মুম্বাইতে অবস্থিত তাঁর বাড়িটির নাম হল “অ্যান্টিলিয়া”। এই প্রাসাদোপম বাড়ির সামনে রয়েছে একটি “সেভেন স্টার” হোটেলও। স্বাভাবিকভাবেই, এই সুন্দর বাড়ি এবং হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছেন অনেকেই। তবে সেই সংখ্যাটা শুনলে আপনি নিশ্চয়ই চমকে উঠবেন!

মুকেশ আম্বানির বাড়ি এবং হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন ৬০০ জনেরও বেশি কর্মচারী। যারা ২৪ ঘন্টাই সজাগ থাকেন তাঁদের কাজের প্রতি। পাশাপাশি, তাঁরা বেতনও পান কয়েক লক্ষ টাকা! তবে, কেউ ইচ্ছে করলেই সেখানে কাজের সুযোগ পাবেননা। মুকেশ আম্বানির বাড়িতে চাকরি করতে গেলে দিতে হয় রীতিমতো কঠিন সব পরীক্ষা। পাশাপাশি, সেই সমস্ত পরীক্ষায় ভালো ভাবে উত্তীর্ণও হতে হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৭ তলা অ্যান্টিলিয়া প্রায় ৫৭০ ফুট উঁচু। সেখানে একটি এলাকা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেহরক্ষী, নিরাপত্তা প্রহরী এবং অন্যান্য সহকারীরা বিশ্রাম নিতে পারেন। অ্যান্টিলিয়ার ষষ্ঠ তলা পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ১৭০ টি ক্ষেত্র রয়েছে।

এদিকে, মুকেশ আম্বানির বাড়িতে চাকরি পেতে গেলে প্রার্থীদের প্রথমে ফর্ম পূরণ করতে হয়। তারপর যাঁরা ফর্ম পূরণ করেছেন তাঁদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এই পরীক্ষায় করা হয় সাধারণ জ্ঞান এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন। লিখিত পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হন তাঁদের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য নির্বাচিত করা হয়।

whatsapp image 2023 03 17 at 8.00.32 pm

সূত্র অনুযায়ী, মুকেশ আম্বানির বাড়িতে প্রায় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। যার জন্য আলাদা আলাদা চালক দরকার হয়। তবে, আম্বানির গাড়ির চালক হওয়াও অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিভিন্ন কোম্পানিকে ড্রাইভারের জন্য চুক্তি দেওয়া হয়। তারপর একাধিক পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভার নির্বাচন করা হয়। উল্লেখ্য যে, মুকেশ আম্বানির ড্রাইভারের বেতন প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। স্বভাবতই, ওই বাড়িতে কাজ করা বাকি কর্মচারীদের বেতন কেমন হবে বা তাঁরা কেমন জীবনযাপন করবেন তা সহজেই অনুমেয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর