বাংলাহান্ট ডেস্ক : রতন টাটা (Ratan Tata)। নামটাই যথেষ্ট। ভারতবর্ষ তো বটেই সারা পৃথিবীর অন্যতম অগ্রগণ্য ব্যবসায়ী হিসেবে এই নাম সবার মুখে মুখে ফেরে। শুধু নিজের প্রতিষ্ঠানকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দেওয়াই নয়,সারা পৃথিবী জুড়ে তার অবদান অনস্বীকার্য। শুধুমাত্র নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ না দেখে সারা জীবন কাজ করে গেছেন দেশ ও জনগণের সেবায়। কিন্তু আপনি জানেন কি বিশ্বের অন্যতম সফল ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বের ১০০ ধনীর তালিকায় খুঁজে পাওয়া যায় না তার নাম!
অবাক হচ্ছেন? হওয়ারই কথা! ২০১৭ সালে অবসর নেন রতন টাটা। এরপর বিভিন্নভাবে টাটা গ্রুপের সাথে যুক্ত থেকেছেন তিনি। কিন্তু তার দৈনিক আয় ভারতের অন্যান্য অনেক ছোট বা মাঝারি ব্যবসায়ীর থেকেও কম। সবার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে কোম্পানিটি নুন থেকে গাড়ি প্রায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিস উৎপাদন করে থাকে তার কর্ণধারের এমন শোচনীয় অবস্থা কেন? বলে রাখা ভালো, টাটা গ্রুপের ইকুইটি ৬৬ শতাংশ সরাসরি জমা হয় টাটার ট্রাস্টে। সেই ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে এসে জমা পড়ে টাটা অ্যান্ড সন্স এর যাবতীয় লভ্যাংশ। এই ট্রাস্ট থেকেই কর্মীদের বেতন ও নানারকম সমাজসেবামূলক কাজের জন্য টাকা খরচ করা হয়।
একটি বিশেষ সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায়, রতন টাটার দৈনিক আয় ১৮৭৩৯ টাকা। হিসাব মত রতন টাটা প্রতি ঘন্টা পিছু আয় করেন মাত্র ৭৮০ টাকা। সব মিলিয়ে রতন টাটার মাসিক উপার্জন ৫.৭ লক্ষ টাকার পাশাপাশি।
প্রসঙ্গত ভারতের শীর্ষ ধনী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানীর মাসিক আয় ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই হিসাব অনুযায়ী রতন টাটা ভারতের শীর্ষ ধনীদের থেকে বেশ পিছনের সারিতেই পড়েন। কিন্তু তার সমাজসেবা মূলক কাজকর্ম বাকিদের থেকে তাকে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।