১২:১৩ মিনিটে শেষ মেসেজ! আরজি কর নিয়ে লেখা…! এরপরেই উদ্ধার চিকিৎসকের মৃতদেহ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর। চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের পর প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভেতর হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। এবার সেই আরজি করেরই এক প্রাক্তনীর দেহ উদ্ধার (Doctor Death) ঘিরে জোর শোরগোল। দীপ্র ভট্টাচার্য নামের সেই চিকিৎসক ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

  • শেষ মেসেজে আরজি করের উল্লেখ! ডাক্তারের দেহ উদ্ধার (Doctor Death) হতেই শোরগোল

পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসক দীপ্র ভট্টাচার্য ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ছিলেন। একটি হোটেলে থেকে তিনি কাজ করতেন। জানা যাচ্ছে, প্রয়াত এই ডাক্তার হুমকি সংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদে সরব ছিলেন। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরেই এবার ঘনাচ্ছে রহস্য।

রিপোর্ট বলছে, আরজি করের (RG Kar Hospital) প্রাক্তনী ছিলেন দীপ্র। সিনিয়র অ্যানেস্থেসিস্ট হিসেবে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কাজ করছিলেন। আজ বেলা ১২:১৩ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিস্ট ডাক্তারদের হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি লম্বা পোস্ট করেন বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সেখানে আরজি কর হাসপাতালের উল্লেখ ছিল।

আরও পড়ুনঃ ‘৩ দিনের মধ্যে…’! রেখাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে ফিরহাদ? তোলপাড় রাজ্য

দীপ্র নাকি ওই মেসেজে লিখেছিলেন, দেড় বছর তিনি আরজি কর হাসপাতালে ছিলেন। সেখানকার ডাক্তার-অধ্যাপকদের একাংশের বিরুদ্ধে হুমকি সংস্কৃতিতে (Threat Culture) মদত দেওয়ার অভিযোগ আনেন তিনি। একইসঙ্গে নাকি দাবি করেন, নিজেদের চাকরি বাঁচানোর জন্য ওই ডাক্তার-অধ্যাপকরা দুর্নীতিতেও মদত দিতে পিছপা হননি।

Dipro Bhattacharya doctor death

জানা যাচ্ছে, এদিন বেলায় দীপ্র যখন ওই মেসেজ পাঠান তা দেখে তাঁর সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। তবে তাঁর ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে দীপ্র যে হোটেলে থাকতেন, সেখানকার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। হোটেলের ঘরে দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় ওই চিকিৎসকের (Doctor Death) মৃতদেহ।

এই বিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ওঁর নোটটা দেখেছি। আমাদের বর্তমান সময়ে যে আন্দোলন চলছে, তার প্রত্যেকটা কথা সেখানে রয়েছে। আমরা ভীষণ মর্মাহত। এর নেপথ্যে অন্য রহস্য রয়েছে কিনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষ। আপাতত ময়নাতদন্ত চলছে’।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর