বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে যখন স্পর্শ বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেইসময় কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই অসুস্থ রোগীকে গাড়ি থেকে কোলে করে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এলেন খোদ চিকিৎসক। স্ট্রেচারের অভাবে গাড়িতেই ওই মহিলা অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছিলেন। সেই সময় ৮ মাসের গর্ভবতী সোনিয়াকে কোলে করে হাসপাতালের এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে আসেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ রমেশ পঞ্চাল। স্যোশাল মিডিয়ায় সেই দৃশ্যের ভিডিও শেয়ার হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার (haryana) জিন্দ জেলার সিভিল হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসকের এই মানবিকতার পরিচয় দেখে এগিয়ে এলেন আরও অনেকে। বছর ৩৮ -এর সোনিয়া উত্তর প্রদেশের বান্দার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর সঙ্গে খরকরামজি গ্রামে একটি ইট ভাটাতে কাজ করতেন। তিনি ৮ মাসের গর্ভবতীও ছিলেন।
কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। অসুস্থ রোগীকে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ রমেশ পঞ্চাল গাড়ি থেকে কোলে করে তুলে নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করতেই অন্যান্যরা স্ট্রেচার নিয়ে এগিয়ে আসেন। রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয় না। সোনিয়া মারা যান। পরবর্তীতে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে, রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এবিষয়ে সিভিল হাসপাতালের এসএমও ডাঃ গোপাল গোয়াল জানান, ওই মহিলার রক্তাল্পতা ছিল। ওই মহিলাকে কিছুদিন আগেই রোহাতক পিজিআইতে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে তাঁকে সম্পূর্ণ চিকিৎসা না করেই খরকরামজিতে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে আবারও সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তাঁকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
जींद के सामान्य हॉस्पिटल में स्ट्रेचर नही मिला और महिला की स्थिति गंभीर दिखी तो महिला मरीज को दोनों हाथों में उठाकर दौड़े डिप्टी सिविल सर्जन डॉक्टर रमेश पांचाल…. salute sir
कौन कहता हैं इंसानियत मर गयी हैं? pic.twitter.com/4RZjfbjUBL
— Deepender S Hooda (@DeependerSHooda) April 26, 2021
চিকিৎসকের এই কাজের প্রশংসা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ দিপেন্দ্র হুদা। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘জিন্দ জেলার সিভিল হাসপাতালে স্ট্রেচার না পাওয়ায় অসুস্থ মহিলাকে কোলে করেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক। salute sir, কে বলেছে মনুষ্যত্ব আর বেঁচে নেই!’