করোনা নিয়ে বিশ্বের মানুষকে সচেতন করলেন স্প্যানিশ চিকিৎসক ড: টুং চেন

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৫১ জনে।চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পরিস্থিতি সাময়িক উন্নত হলেও ইরান ও ইতালিতে মৃত্যু মিছিল বাড়ছেই। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সেখানে বিশাল-বিশাল গণকবর খোঁড়া  হয়েছে। এমনকি দেশের অনেক স্কুল, অফিস, কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে WHO  জানিয়েছে এই ভাইরাস মহামারির আকার ধারন করেছে। এসবের মধ্যেও মানুষকে সতর্ক করতে ভুলছে না অনেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে করোনায় আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও একজন স্প্যানিশ চিকিৎসক ভাল পদক্ষেপ নিয়েছেন। ডাঃ টুং চেন (৩৫) গত চার দিন ধরে তাঁর সংক্রামিত শরীর সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সশ্যাল সাইটের মাধ্যমে মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে তুলে ধরেছেন।

তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও অনেক চিকিৎসক তাদের ডাক্তার ডঃ টুংয়ের টুইটার হ্যান্ডেল দিয়ে তাদের মেডিকেল রিপোর্টগুলি টুইট করছেন।ডাক্তার ইয়েল টুং চেন মাদ্রিদের বিশ্ববিদ্যালয় লা পেজে সংক্রামিত রোগীদের চিকিত্সা করতে গিয়ে নিজেই কোভিড -১৯ এর একটি সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তিনি জানা নিজেই চিকিতসা চলা কালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে নিজেই পরীক্ষা করে দেখেন যে তিনি করোনাতে আক্রান্ত। তখন তিনি খুব ভেঙ্গে পড়েন নিজেকে একা মনে করতে শুরু করেন। এমনকি নিজেকে ঘরে বন্ধ করে রাখেন। যাতে তার স্ত্রী এবং শিশুর এই ভাইরাস না ছড়ায়।

এরপরে তিনি চিকিত্সা বিজ্ঞান এবং লোকদের সাহায্যের জন্য প্রতিদিন নিজের অসুস্থতার লক্ষণগুলি এবং সবার সাথে ভাগ করে নেওয়ার কথা ভাবেন।  তিনি তার বিজ্ঞানীদের এবং চিকিত্সা পেশাদারদের জন্য তার ফুসফুসগুলির আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানিংয়ের ভিডিওগুলিও ভাগ করে নেওয়া শুরু করেছিলেন।ডাঃ টুং চেন প্রথম দিন টুইটারে বলেছিলেন যে আমার গলা খারাপ হয়েছে। উচ্চ মাথা ব্যথা, শুকনো কাশি তবে শ্বাস নিতে সমস্যা নেই। আমার ফুসফুস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমি আমার ফুসফুসের পোকাসের (পয়েন্ট অফ কেয়ার আল্ট্রাসাউন্ড) নজর রাখব।আর এভাবে তিনি তার রোজের সমস্যা সবার সামনে তুলে ধরেন।


সম্পর্কিত খবর