বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমিত না হলেও, বিপাকে এখন দিল্লীর (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। গত তিন মাস ধরে বেতন না মেলার দাবীতে এবার পদত্যাগের ডাক দিচ্ছে চিকিৎসকরা। সামিল হয়েছে হিন্দু রাও হাসপাতাল এবং কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসকরাও।
পদত্যাগের দাবী চিকিৎসকদের
হিন্দু রাও হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সমিতি মেডিকেল সুপারিনটেন্ডেন্টকে চিঠি মারফত জানিয়েছে, বেতন না পেলে তারা আর কাজ করতে পারবে না। আগামী ১৮ ই মে অবধি সময় দিচ্ছে তারা। এর মধ্যে বেতন না পেলে, পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বেঁকে বসেছেন করোনা যোদ্ধারা
মহামারি করোনা ভাইরাসের জেরে ভারত এখন জর্জরিত। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত মানুষদের সুস্থ করে তোলবার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে চলেছে হাসপাতাল কর্মী থেকে শুরু করে চিকিতসকগণ সকলেই। দিন রাত এক করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন তারা। কিন্তু এবার এই করোনা যোদ্ধারাই বেঁকে বসেছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত তিন মাস ধরে তারা কোন বেতনই পাননি।
বেতন মেলেনি তিন মাসের
সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে মানুষকে বাঁচিয়ে তুলতে এই করোনা যোদ্ধারা যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাতে তাঁদের আসন সবার উপরেই। কিন্তু বর্তমানে তারাই পড়েছেন গভীর সংকটে। মার্চ, এপ্রিল, মে অর্থাৎ গত তিন মাসের বেতন না পাওয়ায় তারা এবার প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। বেতন ছাড়া এবার তারা আর কাজ করতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে, কস্তুরবা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সমিতির সভাপতি ডাঃ সুনীল কুমার জানিয়েছেন, ‘আমরা গত তিন মাস ধরে বেতন পাইনি। বর্তমান সময়ে ধর্মঘট শোভা পায় না, তাই আমরা সাময়িক পদত্যাগের দাবী জানিয়েছি’।
সাহায্য চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে
দিল্লীতে ক্রমশই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১৫০১ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ জন ব্যক্তি। এখনও অবধি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার ৮১০ এবং মারা গিয়েছেন প্রায় ৯৮৪ জন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের পদত্যাগের দাবীতে উভয় সংকটে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাজে সাহায্য চাইলে, তিনি সর্বার্থক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।