বাংলাহান্ট ডেস্ক: গোটা দেশ যাঁর কণ্ঠের মাদকতায় আচ্ছন্ন, তাঁর শেষ পারফরম্যান্স দেখল কলকাতা (Kolkata)। কেকে-র (KK) আসার খবরে যতটা উচ্ছসিত কল্লোলিনী, তাঁর মৃত্যুর পর ততটাই হাহাকার, কান্নার রোল। নিজের শহর থেকেই বিদায় দিতে হল প্রিয় গায়ককে, মেনে নিতে পারছে না শহরবাসী। ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের উপরে।
যারা মঙ্গলবারের শো তে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, নজরুল মঞ্চে আসন সংখ্যার অনেক বেশি লোক উপস্থিত ছিল। ২৪০০ লোক হওয়ার কথা ছিল এদিনের অনুষ্ঠানে। কিন্তু সংখ্যাটা গিয়ে পৌঁছায় প্রায় সাত হাজারে।
এত জন সমাগম হওয়ায় এসি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। শ্রোতাদের দমবন্ধ করা অবস্থা। মঞ্চের উপরে দরদর করে ঘামছেন কেকে। স্পটলাইট নিভিয়েও লাভ হয়নি। ওই পরিস্থিতিতেও মঞ্চ ছেড়ে নামেননি তিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শ্রোতাদের গান শুনিয়ে গিয়েছেন।
কেকের মৃত্যু প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে কলকাতা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের। এবার বিষয়টা নিয়ে মুখ খুললেন চিকিৎসক কুণাল সরকার (Kunal Sarkar)। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, দক্ষিণ কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতার হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় কেকে কে। রাস্তায় পড়েছিল চার চারটে হাসপাতাল।
হোটেলে কিছুক্ষণ রাখার পর আবার তাঁকে আনা হয় হাসপাতালে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে এই ঘটনা। শিল্পীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক। তিনি আরো দাবি করেছেন, বৃথা সময় নষ্ট করা হয়েছে। উপরন্তু শোয়ের আগে যে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাতে জল ছিল নাকি কার্ব ডাই অক্সাইড ছিল সেটা কে বলতে পারে?
অনুরাগীদের টানে কলকাতায় এসেছিলেন কেকে। নিজের সর্বস্ব দিয়ে পারফরম্যান্স করেছেন। জীবনের শেষ দিন, মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্তও গান গেয়েছেন প্রবল অস্বস্তি, সমস্যা সহ্য করে। এই শহর থেকেই অসহায় ভাবে বিদায় নিলেন কেকে। এই দায় কে বা কারা নেবে? উঠছে প্রশ্ন।