বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ভাঙড়ের (Bhangar) আন্দুল গড়িয়াতে সরকারি নথি (Documents) পোড়ানোর অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। জানা যায়, রবিবার দুপুর থেকে ঘেরা জমিতে দাউদাউ করে জ্বলছে নথি। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছয় সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। শুরু হয় অবশিষ্ট নথিপত্র উদ্ধারের কাজ। এরপর প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, ভাঙড়ে পুড়িয়ে ফেলা নথি আসলে বিহার সরকারের (Bihar Govt)।
তবে, বিহারের নথি বাংলায় এল কিভাবে? কে বা কারা নিয়ে এল? পোড়ানোই বা হল কেন! এ নিয়ে ধন্দে গোয়েন্দারা। চলছে তদন্ত। গতকালই নথি পোড়ানো কাণ্ডে জমিমালিককে তলব করে সিবিআই। জানা যায়, জমির মালিকের নাম রাকেশ রায়চৌধুরী। তিনি স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পাশাপাশি ওপর এক তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডলকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই।
তবে সেইসময় গৌতমবাবু কলকাতায় থাকায় ভাঙড়ে উপস্থিত হতে পারেননি। অন্য দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে উত্তাল বাংলায় নথি পোড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সে নানান জল্পনা। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। অনেকেই বলেন কয়লা, গরুপাচার বা নিয়োগ দুর্নীতির বস্তা বস্তা কাগজ পোড়ানো চলছিল সেখানে। শুরু হয় বিতর্ক। শাসক-বিরোধী সকলেই নাম লেখান সেই বিতর্কে।
তবে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিবিআই সূত্রে খবর, যে নথি পোড়ানো হচ্ছিল, সেগুলো বিহার সরকারের কৃষি এবং মৎস্য দফতরের ২০০৮ এবং ২০১০ সালের নথিপত্র। তবে সুদূর বিহার থেকে সেই ওই সরকারি অডিটের কাগজপত্র বাংলায় নিয়ে এসে পোড়ানোর পিছনে কী রহস্য থাকতে পারে তা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
জানা গিয়েছে, যে জায়গায় নথি পুড়ছিল, সেই জমির মালিক ছিলেন বিহারের বাসিন্দা জনৈক রাজেশ সিংহ। পরে তার কাছ থেকে ওই জমি কেনেন প্রোমোটিং ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম। পরে তার কাছ থেকেও জমির মালিকানা একাধিকবার হস্তান্তর হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর।