মামলার শুনানির আগে ব্যাগ গোছালেন মহুয়া! অবশেষে বাংলো ছাড়লেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে বাড়ি খালি করতেই হল মহুয়াকে (Former TMC MP Mahua Moitra)। জানা গিয়েছে এদিন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে উচ্ছেদ করতে দিল্লির বাংলোতে দল পায় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট (DoE)-এর দল পৌঁছনোর আগেই এদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাংলো খালি করে দিয়েছেন মহুয়া। এমনটাই দাবি করছেন মহুয়ার আইনজীবী।

মহুয়ার আইনজীবী আরও জানিয়েছেন, “ডিওই-এর আইনজীবীর হাতে বাংলোর জিনিসপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই বাংলো খালি করা হয়েছিল। ফলে কোনও ‘উচ্ছেদ’ হয়নি।” প্রসঙ্গত, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডের জেরে গত ৮ ডিসেম্বর সাংসদ পদ খারিজ হয় তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রর। এরপর সাংসদ হিসেবে প্রাপ্ত অন্য সকল সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি সরকারি বাংলো (Government Bunglow) খালি করে দিতে বলা হয়েছিল মহুয়াকে।

বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়াকে বাংলো খালি করার নোটিস দিয়েছিল ডিওই। পাল্টা সেই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া। যদিও নেত্রীর আবেদন খারিজ দেয় আদালত। বৃহস্পতিবার আদালত জানায় সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করায় তিনি সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার হারিয়েছেন। এরপরই এদিন মহুয়াকে উচ্ছেদ করতে পৌঁছে যায় ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট।

গত সপ্তাহেই মহুয়াকে নোটিস দিয়ে ডিওই জানায় বাংলো খালি না করলে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের করা হতে পারে। তবে জানা গিয়েছে এদিন বলপ্রয়োগের আগেই বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে যান মহুয়া। প্রসঙ্গত দিল্লির টেলিগ্রাফ লেনে ৯বি নম্বরের বাড়িতে ছিলেন মহুয়া।

আরও পড়ুন: ২১ ঘণ্টা তল্লাশি! প্রসন্নর বাড়ি-অফিস থেকে ট্রাঙ্ক ও ট্রলি ভর্তি করে কী নিয়ে গেল ED? জেনে চমকে যাবেন

mahua moitra (1)

উল্লেখ্য, সাংসদ পদ হারানোর পরও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত সরকারি বাংলোতেই থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন মহুয়া। প্রয়োজনে বর্ধিত সময়ের জন্য প্রযোজ্য যে কোনও খরচ দিতেও রাজি তিনি। সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টে মহুয়ার আইনজীবী তার মক্কেলের হয়ে এই আর্জি জানান। তবে প্রাক্তন সাংসদের সেই ইচ্ছে পূরণ হল না। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, সরকারি আবাসনে থাকার জন্য আবেদন ডিওই-র কাছেই করতে হবে। এতে আদালতের কিছু করার নেই।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর