বাংলাহান্ট ডেস্ক : হিন্দু ধর্মের একটি অন্যতম উৎসব অম্বুবাচী। প্রতি বছর আসামের রাজধানী গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী (Ambubachi) উপলক্ষে বসে মেলা। কিন্তু এই অম্বুবাচী তিথির পিছনে রয়েছে এক অন্য কারণ। প্রতি মাসেই মহিলারা রজঃস্বলা হন। হিন্দু শাস্ত্রে পৃথিবীকে মা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সনাতন ধর্ম মতে, ধরিত্রী মাতাও বছরের তিনদিন ঋতুমতী হন।
অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রাচীন কৃষি ব্যবস্থা। ঋতুকাল শেষ হলে সন্তান ধারণে সক্ষম হন নারীরা। তেমনই কৃষি জমিতে ফসল ফলানোর সবচেয়ে ভালো সময় অম্বুবাচীর পরবর্তীকাল। অম্বুবাচী চলাকালীন কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয়। সংসারের কল্যাণের জন্য অম্বুবাচী তিথির তিন দিন কিছু কিছু কাজ করা হয়না। তাই অম্বুবাচী শুরু হতেই জেনে নিন, সেই কাজগুলি কি কি?
আরোও পড়ুন : তাসের ঘরের মতো থাম-সহ ভেঙে পড়ল ব্রিজ! ফের সেতু বিপর্যয় বিহারে
১. অম্বুবাচী চলাকালীন কোনো বিশেষ পুজো করা যায় না। লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয় কালী, দুর্গা, জগদ্ধাত্রী, বিপত্তারিণী, শীতলা, চণ্ডীর মূর্তি। এই অম্বুবাচীকে কেন্দ্র করেই উৎসবে মেতে ওঠে কামাক্ষ্যা মন্দির।
২. অম্বুবাচী তিথি চলাকালীন মন্ত্র পাঠ না করে পুজো করতে হয়। ধূপ এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রণাম করে নেওয়া নিয়ম।
৩. অম্বুবাচীতে কোন শুভ কাজ করতে নেই।
৪. অম্বুবাচী চলাকালীন কৃষিকাজ কিংবা বৃক্ষরোপণ করা অনুচিত।
অম্বুবাচী চলাকালীন অর্থাৎ এক তিনদিন বেশ কিছু কাজ করলে কোন সমস্যা হয় না সংসারে। দেখে নিন সেই কাজগুলি কি কি।।
১. অম্বুবাচী চলাকালীন গুরুপুজোতে বাধা নেই।
২. গুরু প্রদত্ত মন্ত্র জপ করতেই পারেন।
৩. অম্বুবাচী চলাকালীন তুলসী গাছে গোড়ার দিকে মাটি দিয়ে উঁচু করে দিন। তবে,মন্ত্র পাঠও করতে পারেন শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিতরা।
৪. অম্বুবাচীর পর খুলে দিন দেবীদের আচ্ছাদন। দেবীমূর্তি ভাল করে স্নান করিয়ে তবে পুজো দিন। আম এবং দুধ নিবেদন করলে দেবী তুষ্ট হবেন।