কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে লড়ছেন শশী থারুর? তুমুল চর্চা রাজনৈতিক মহলে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কংগ্রেসের (Congress) সভাপতি নির্বাচন নিয়ে নানান জল্পনা চলছেই। জানা যাচ্ছে, এবার নির্বাচনে নাকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সাংসদ শশী থারুর। কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দলকে সাফল্যের পথ দেখাতে পারেন তিনি, এমনটাই মনে করেন শশী (Shashi Tharoor)। ২০২০ সালে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ ২৩ নেতার মধ্যে শশীই ছিলেন অন্যতম। তবে দলের সভাপতি নির্বাচনে থারুর অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Shashi tharoor on congress president elections

 

সর্ব ভারতীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে এই মুহুর্তে অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব নিতে কোনও ভাবেই রাজি হচ্ছেন না রাহুল গান্ধী। শারীরিক অসুস্থতা এবং বয়সের কারণে সোনিয়া গান্ধীও কতটা সক্রিয় ভাবে এই গুরু দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, তা নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। এই রকম পরিস্থিতিতে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিলো, সভাপতি পদে বসানো হতে পারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। ২০১৯ সালের পর থেকে কোনও স্থায়ী সভাপতিই (Congress President) নেই কংগ্রেসে। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসাবে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন।

এই পরিস্থিতিতে নাকি দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন শশী থারুর। সভাপতি হিসাবে তিনি ঠিক কতখানি ভূমিকা পালন করতে পারবেন সেই বিষয়েও কথাবার্তা বলেছেন। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দল বা শশী কেউই এখনও কোন স্থির সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও তার উত্তর দেননি থারুর। তবে জানা যাচ্ছে, একটি মালায়লাম সংবাদপত্রে আসন্ন কংগ্রেস নির্বাচন ঘিরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শশী থারুর।

tharoor shashi

সেই সংবাদপত্রে তিনি লিখেন, ‘কংগ্রেসে ওয়ার্কিং কমিটির অন্তত বারোটি আসনে নির্বাচন করানো দরকার ছিল। তবে নতুন করে সভাপতি পদে নির্বাচন করালে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন ঘটবে। দলের জন্য এই পদক্ষেপ করা অত্যন্ত দরকার ছিল।’ তুলনায় তিনি ২০১৯ সালের ব্রিটেনের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সেদেশের কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসাবে টেরেসা মেকে সরিয়ে দলের প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়া হয় বরিস জনসনকে। এইভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বেও বদল এলে তা আখেরে দলেরই লাভ হবে বলে মনে করেন থারুর। তিনি আরও লেখেন ‘নেতৃত্ব পরিবর্তন হলে জাতীয় স্বার্থের গুরুত্বও অনেকটাই বেড়ে যাবে কংগ্রেসে। তার ফলে ভোটাররা আবার কংগ্রেসের দিকে আকৃষ্ট হবে। আমার মনে হয়, অনেকেই চাইবে সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে।’

Sudipto

সম্পর্কিত খবর