বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চলছে কুকুরের মাংসের উৎসব (Dog meat festival), ভিড় জমেছে ব্যাপকহারে। চীনে (China) টানা দশদিন চলবে এই অদ্ভুত ধরণের উৎসব। করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে যেখানে পশু মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবে চীন, সেখানে উল্টে রমরমিয়ে চলছে উৎসব। দলে দলে যোগ দিচ্ছে বহু মানুষও।
চীনের করোনা ভাইরাস
২০১৯ সালের নভেম্বরে চীনের উহানের হুবেই প্রদেশে প্রথম সংক্রমণ ঘটেছিল মহামারি করোনা ভাইরাসের। ধারণা করা হয়েছিল চীনের হুবেই প্রদেশের সি ফুড মার্কেটের বাদুড়ের মাংসের থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর থেকে কিছুছিন স্থগিত থাকলেও, ফের রমরমিয়ে চালু হয়েছে চীনের পশু খাদ্যের বাজার। এমনকি জমিয়ে চলছে উৎসবও। সরকারকে বুড় আগুল দেখিয়ে সেখানে দলে দলে যোগও দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
চলছে কুকুরের মাংসের অনুষ্ঠান
১০ দিন ব্যাপী এই কুকুরের মাংসের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে গত ২১ শে জুন থেকে ইউলিনে। এখানে খাঁচায় করে কুকুর এনে রাখা হয়। তারপর ক্রেতারা তাঁদের পছন্দমত কুকুর কিনে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কেটে রান্না করে। আবার অনেকে তো সেখানে স্টল থেকে কিনে, সেখানে বসেই খেতে শুরু করে দিয়েছেন কুকুরের মাংস। চীনের এই বেপরোয়া মনোভাব দেখে পশু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুব শীঘ্রই চীন থেকে কমতে শুরু করবে কুকুরের সংখ্যা।
পরিবর্তন আনতে হবে উৎসবে
পশুপ্রেমী পিটার লি জানিয়েছেন, আশা করা যাচ্ছে, এবছরই অনুষ্ঠানের শেষ। আগামী বছর থেকে আর এই উৎসব করা হবে না। তবে শুধুমাত্র প্রাণীদের কথা ভেবে না হলেও নিজেদের শরীর স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বদলাতে পারে ইউলিন। আবার উৎসবের নামে কুকুর খাওয়ার জমায়েতে বর্তমান সময়ে আশঙ্কাজনক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়। আরেক পশুপ্রেমী ঝাং কিয়ানকিয়ান জানিয়েছেন, নেতারা কুকুরের মাংস খাওয়ার বিপক্ষে সোচ্চার হলেও, দ্রুত এই কুকুরের মাংস নিষিদ্ধ করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ বিষয়। তবে কৃষি মন্ত্রক দেখছে কিভাবে দ্রুত ইউলিনের বাজারে এই কুকুরের মাংসের উৎসবের পরিবর্তন আনা যায়।