মোমো ফ্যাক্টরির ফ্রিজে কুকুরের কাটা মাথা! মোমোর পুরেই কি তাহলে…..হইচই শুরু শহরে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আট থেকে আশি, মোমো (Momo) এখন দ্রুত দখল করে নিচ্ছে আমজনতার প্রিয় খাবারের তকমা। মাংস বা সবজির পুরে ভরা স্টিমড, ভাজা বা সসে মাখানো গরম গরম মোমো অনেকেরই ‘কমফোর্ট ফুড’ হয়ে উঠেছে ইদানিং। বাজারে মোমোর ব্র্যান্ডও কম নেই। ছোটখাটো ফুটপাতের দোকান থেকে নামীদামী রেস্তোরাঁ সর্বত্রই মোমো (Momo) মেলে। কিন্তু সম্প্রতি পঞ্জাবে যা ঘটল, তাতে মোমো খাওয়ার আগে দুবার অন্তত ভাবতে হবে।

মোমো (Momo) কারখানার ফ্রিজে কুকুরের মাংস!

সম্প্রতি পঞ্জাবের মোহালির মাতাউরের একটি ঘটনা ফিরিয়ে এনেছে ভাগাড় কাণ্ডের স্মৃতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মাতাউরে একটি নামী মোমো (Momo) তৈরির ফ্যাক্টরি কিচেনে অভিযান চালায় পঞ্জাবের স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল। হঠাৎ করেই তারা উপস্থিত হওয়ায় আগে থেকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ পায়নি কারখানার কর্মীরা। প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে যা দেখে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয় সবার।

Dog meat reportedly found in momo making factory

কী পাওয়া গেল কারখানায়: প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখেন, কারখানার একটি ফ্রিজে কুকুরের কাটা মাথা রাখা রয়েছে! শুধু তাই নয়, মুরগির বেশ খানিকটা পচা মাংসও পেয়েছেন প্রতিনিধিরা। তবে ফ্রিজে যে পশুর মাথা পাওয়া গিয়েছে তা কুকুরেরই কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও বাকি দেহটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটি আগেই কিমা করে পুর বানিয়ে মোমো (Momo) তৈরি করা হয়নি তো? উল্লেখ্য, ওই কারখানায় মোমোর পাশাপাশি স্প্রিং রোলও তৈরি করা হত, যা সরবরাহ হত মোহালি, চণ্ডীগড় এবং পঞ্চকুলাতে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই ওই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া! কবে ভারতে আসছেন সুনীতা? জানিয়ে দিলেন বোন

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা: এখন প্রশ্ন উঠছে, কুকুরের মাংস খাওয়া আদৌ কি স্বাস্থ্যসম্মত। চিন, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো কিছু এশীয় দেশে কুকুরের মাংস যথেষ্ট জনপ্রিয় হলেও অনেক জায়গাতেই এ নিয়ে রয়েছে ‘নাক সিঁটকানি’। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশে কুকুরের মাংস ‘অবৈধ’ বলেই মানা হয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই মত, কুকুরের মাংস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক।

আরো পড়ুন: “হি ইজ গুড ইন…”, ক্যামেরার সামনেই রাজকে নিয়ে এ কী বলে দিলেন শুভশ্রী!

অনেকের মতে, ভালো ভাবে প্রসেসড না হলে কুকুরের মাংস থেকে ট্রাইসিনোসিস, রেবিস, কলেরার মতো পেটের রোগ হতে পারে। তবে কি ওই কারখানায় মোমোর (Momo) পুরে কুকুরের মাংসই কি খাওয়ানো হল মানুষকে? জানা যাচ্ছে, ওই কারখানায় ফ্রোজেন মিট এবং ক্রাশার মেশিন পাওয়া গিয়েছে। মোমো, স্প্রিং রোল এবং লাল চাটনির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর