বাংলাহান্ট ডেস্ক : বড় বড় সেলিব্রিটিদের শাড়ি পরিয়ে থাকেন কলকাতার এই কন্যা। বর্তমানে তিনি ডেপিং আর্টিস্ট (Drape Artist) হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছেন। বলুনতো কার কথা বলছি? ডলি জৈন (Dolly Jain)। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা কাইফ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। ডলির শাড়ি পরানোর যাদুতে সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায় বলিউড নায়িকাদের। তবে শুধুমাত্র শাড়ী পড়ানোর জন্যই প্রায় লাখ খানেক টাকা নিয়ে থাকেন ডলি।
তবে তাঁর লেখাপড়ার দৌড় কতটা জানলে, অবাক হবেন আপনি। সাক্ষাৎকারে ডলি জৈন জানান, “আমার ২১ বছরে বিয়ে। ওই বয়সে গ্র্যাজুয়েশন তো হয়ে যাওয়ারই কথা। তবে আমি ক্লাস সেভেন অবধি পড়াশোনা করেছি।” হতবাক হয়ে যান যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। তবে পারিবারিক কারণে পড়াশোনা করতে পারননি বলে জানান ডলি। তবে এই বিষয়ে তিনি আর আলোচনা করেননি। এত কম পড়াশোনা করার পরেও ঝরঝরে ইংরেজি কিভাবে বলেন ডলি? সেদিক থেকে ডলি কৃতিত্ব মেয়েদের দিয়েছেন।
আরোও পড়ুন : রাজ্যপাল টাটা, বাই-বাই! বাংলায় দিন ফুরোলো বোসের? তথ্য ফাঁস হতেই তোলপাড়
তাঁর কথায়, “আমরা সবসময় বলি মায়ের বাচ্চাদের শেখায়, বাচ্চাদের পড়ায়। আমার ক্ষেত্রে না যখন বাচ্চাদের জন্ম হল, তখন ঠিক করেছিলাম ওদের বলব আমার সঙ্গে শুধু ইংরেজিতে কথা বলবে। আমাদের ঘরে আর কোনও কথা বলার ভাষা থাকবে না। তোমরা আমার সঙ্গে ইংরেজিতেই কথা বলবে। আর আমাকে রোজ একটা করে নতুন শব্দ দেবে। সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে শব্দ দেবে আর ফিরে এসে বলবে, এটা দিয়ে একটা বাক্য তৈরি করে শোনাও। বা তোমার কথায় ব্যবহার করো। এভাবেই আমি ইংরেজি শিখেছি।”
জানা যায়, কলকাতায় যে পরিবারের ডলি বিয়ে করেন সেখানে মেয়েদের সবসময় শাড়ি পড়ে থাকতে হতো। আর সেই থেকেই শাড়ির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। নানান উপায় বের করে নিজেই শাড়ি পড়তেন তিনি। আশেপাশের সকলে তা দেখে বেশ পছন্দ করত। এরপর ২০১১ সালে সবচেয়ে দ্রুত শাড়ি পরে ওয়ার্ল্ড গিনিস বুক অফ রেকর্ডে নাম তোলেন ডলি জৈন। তারপরেই ডেপিং আর্টিস্ট নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন আজ অবশ্য তাঁর জগত জোড়া খ্যাতি। আম্বানি পরিবারের ছোট ছেলের প্রি ওয়েডিংয়ে নীতা আম্বানি, শ্লোকা, ইশাদের শাড়ি পরিয়েছেন ডলি জৈন।