বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের ঠিক আগে তৃণমূলে আর কাজ করতে পারছেন না এমন বার্তা দিয়ে পদত্যাগ করেন অনেক নেতাই। সেই তালিকারই অন্যতম ছিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর পরপরই নিজের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন রাজীবও। বিধানসভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি হাতে করে বেরোনো রাজীব কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে ওঠেন তৃণমূলের অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
কিন্তু ডোমজুড় থেকে নির্বাচনে দাঁড়ালেও তার বিরুদ্ধেও একইভাবে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানুষ। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতা কল্যাণেন্দু ঘোষের কাছে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপর থেকেই একের পর এক পোস্টে দলের বিরুদ্ধে মুখর হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, বারবার ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে মানুষ ভালোভাবে নেবে না। আর তারপর থেকেই ফের একবার স্পষ্ট হয়েছে তার দল বদলের জল্পনা। কারণ নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির বেশিরভাগ মিটিংয়েই তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। অন্যদিকে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান করার পর থেকেই আরো কিছুটা হাওয়া পেয়েছে এই জল্পনার আগুন।
সেই সূত্র ধরেই এবার রাজীব বিরোধী মিছিল দেখা গেল ডোমজুড়ের সলপ বাজার এলাকায়। এই বিজেপি নেতাকে তৃণমূলে না ফেরানোর দাবি তুলে এদিন ডোমজুড়ের সলপ বাজার থেকে বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার মিছিল করে এসে হাওড়া-আমতা রোড অবরোধ করেন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। এমনকি এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়। তাদের পরিষ্কার দাবি, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এখন যেভাবে তিনি দলে ফেরার চেষ্টা করছেন তা মোটেই মেনে নেওয়া যাবে না।”
এ বিষয়ে অবশ্য এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নির্বাচনের সময়ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ডোমজুড় এলাকায় ক্ষোভ ছিল চরমে। নির্বাচনের পরেও একইরকম ক্ষোভ দেখা গেল জনতার মধ্যে। এখন আগামী দিনে এই দল বদলুদের নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন সকলেই।