বেঁচে আছে ডন ছোটা রাজন, মৃত্যুর খবর ওড়াল AIIMS

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজনের মৃত্যুর খবর সঠিক নয় জানালো দিল্লি এইমস। এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, ছোটা রাজন এখনো জীবিত রয়েছেন এবং তার করোনার চিকিৎসা চলছে। কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, শুক্রবার দুপুর বেলা এইমসে করোনার চিকিৎসাধীন ডন ছোটা রাজনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই কারণেই সঠিক খবর প্রকাশ করা হলো দিল্লি এইমস তরফে। তিহার জেলে কঠিন নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও করোণায় আক্রান্ত হন গ্যাংস্টার ছোটা রাজন। এর পরেই তাকে দিল্লি এইমসে ভর্তি করা হয়। আজ দুপুরে হঠাৎই তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই খবর প্রকাশের আধঘণ্টার মধ্যে পুলিশের তরফে জানানো হয়, খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

করণায় আক্রান্ত ছোটা রাজনকে এইমসে ভর্তি করা হয় ২৬ এপ্রিল। ৬২ বছরের এই মাফিয়া ডনের শরীরে কোভিড ছাড়াও নানা রোগ রয়েছে। হৃদরোগ এবং মধুমেহ রোগ থাকায় করোনা রোগী হিসেবে তার সার্বিক পরিস্থিতি যে যথেষ্ট জটিল তা আগেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে কেমন রয়েছে তা এখনো জানাননি চিকিৎসকরা। ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর তিহার জেলে বন্দী ছিলেন ছোটা রাজন। ছোটা রাজনের আসল নাম রাজেন্দ্র সদাশিব নিখলজে। ৬৫ টিরও বেশি ক্রিমিনাল কেস রয়েছে তার নামে। স্কুল ছাড়ার পর প্রথমে সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক দিয়ে শুরু হয় তার জীবন। এরই মাঝে তিনি ঢুকে পড়েন রাজন নায়ার গ্যাঙে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের দুনিয়ায় রাজন নায়ার পরিচিত ছিলেন বড় রাজন নামে। তার সাথে পরিচয়ের সূত্রেই ছোটা রাজন নামে খ্যাত হন রাজন।

এই সময়ে তার পরিচয় হয় বিখ্যাত গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সাথে। দুজনে একসাথে মিলে মুম্বাইয়ে হত্যা, উসুলি, ধমকি এ ধরনের নানা কাজে যুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে দুবাই চলে যান ছোটা রাজন। কিন্তু বাবরী কাণ্ডের পরে ১৯৯৩ সালে দাউদ এবং রাজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিশেষত মুম্বাই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে নিজেকে দাউদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে নেন ছোটা রাজন। এরপর ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর