বাংলা হান্ট ডেস্ক: দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হয়ে দাপট দেখাতে শুরু করেছেন ট্রাম্প । গত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজ থেকে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। আর শপথ গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক অ্যাকশন নিচ্ছেন তিনি। যেখান থেকে পার পেল না চিনও (China)। কিছুদিন আগেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন দুই পড়শি দেশ অর্থাৎ কানাডা এবং মেক্সিকোর পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। আর তা ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে। আর দিন কয়েক পেরোতে না পেরোতেই এবার ট্রাম্পের নিশানায় ড্রাগন দেশ।
এবার ট্রাম্পের নিশানায় চিন (China):
জানা গিয়েছে, এবার চিনকে (China) নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের। শুক্রবার রাতে, এই নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন এবার সমস্ত চিনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। উল্লেখ্য, নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনের পর কানাডা এবং মেক্সিকোতে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। আর সেই সময়েই তিনি বেজিংকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বেজিংকে ঠিক কি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প: সেইসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বেজিংয়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “চিনে (China) তৈরি বহু অবৈধ ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় ঢুকলেও বেজিং কোনও পদক্ষেপ করেনি। চিন যত দিন না এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, তত দিন পর্যন্ত চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানো হবে।” সেই সময় তিনি আরও জানিয়েছিলেন চিনা পণ্যে আরোপিত শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ৪ সপ্তাহের মধ্যে…! রাজ্যের ডাক্তারদের জন্য বড় খবর! বিরাট নির্দেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
আর এবার শুক্রবার রাতে এই বিষয় বিরাট ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনা (China) পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি ব্যাখ্যা করেছেন মেক্সিকো এবং কানাডায় কেন শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, “এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হল, বিপুলসংখ্যক নথিপত্রহীন অভিবাসীর অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা। সীমান্ত দিয়ে ফেন্টানাইল (মাদক) চোরাচালান বন্ধ করা। সেই সঙ্গে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্যিক ঘাটতি কমানো হবে।” ঠিক এই কারণগুলিকেই তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভালো নেই বদলের বাংলাদেশ! হু হু করে বাড়ছে দারিদ্র্যের হার, সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
আর ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত যে চিন (China) সহ আরও দু’দেশের উপর বিরাট যে প্রভাব ফেলতে চলেছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু আগামী দিনে কি আরও শুল্ক বাড়ানো হতে পারে এই প্রশ্নও উঠছে। উল্লেখ্য যে, কিছুদিন আগেই আমেরিকার সমস্ত দেশগুলিতে আর্থিক অনুদান বন্ধের ঘোষণা করে। আর তাতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশগুলির উপর বিরাট প্রভাব পড়েছে। আগামী দিনে তিনি আর ঠিক কি কি পদক্ষেপ নেন এখন সেটাই দেখার বিষয়।