কাঁদতে কাঁদতে গুহায় ঢুকে গেছিল বাগদাদি, ভিক্ষা চাইছিল! ওর চোখে-মুখে আতঙ্ক দেখা যাচ্ছিলঃ ট্রাম্প

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার যখন নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ঘোষণা করেন যে, ‘আজ বড়সড় কিছু হয়েছে” তখন বিশ্বজুড়ে মানুষ এটাই ভাবছিল যে, কি হল? অনেকেই তো এবার এটাও ভেবে নিয়েছিল যে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প আর কিছুক্ষণের মধ্যে রহস্যের পর্দাফাঁস করে বলবে, বিশ্বের কুখ্যাত জঙ্গি আবু বকর আল বাগদাদি আমেরিকার সেনার অভিযানে খতম হয়েছে।

ট্রাম্প সেনার অপারেশন বিস্তারিত ভাবে বলতে গিয়ে যা বলেন, সেটা শুনে সবাই চমকে যায়। ট্রাম্প বলেন, বাগদাদি শনিবার রাতের অন্ধকারে একটি অপারেশনে মারা গেছে, এই অপারেশন আমেরিকার স্পেশ্যাল ফোর্স করেছিল। ট্রাম্প বলেন, উত্তর পশ্চিম সিরিয়ার ইডলিবে হওয়া এই অভিযানে বাগদাদিকে যখন আমেরিকার সেনা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল, তখন সে প্রাণ বাঁচাতে একটি সুরঙ্গে ঢুকে যায়। আর সেই সময় আমেরিকার সেনা তাঁর পিছনে শিকারি কুকুর ছেড়ে দেয়। বাগদাদির পিছনে শিকারি কুকুর গুলো ছিল।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি অনুযায়ী, শিকারি কুকুর যখন বাগদাদির পিছনে পড়েছিল, বাগদাদি তখন কাঁদছিল, চিল্লাছিল, ক্ষমা চাইছিল এমনকি চরম আতঙ্কে ছিল। শেষে সে দৌড়াতে দৌড়াতে একটি গুহাতে ঢুকে যায়, আর গুহার রাস্তা শেষ হয়ে যায়। বাগদাদি তখন নিজের তিন সন্তানকে নিজের সাথে রেখেছিল। যখন বাগদাদি নিজের মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে দেখে … তখন সে শিকারি কুকুরের হাতে মরার চেয়ে নিজেকে বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া শ্রেয় মনে করে।

এরপর সে নিজের বিস্ফোটক জ্যাকেট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। একটি বড়সড় ধামাকা হয়, চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়, আর গুহা ধসে যায়। বাগদাদি আর তাঁর তিন সন্তানের উপর গুহার ধ্বংসাবশেষ পড়ে। এই বিস্ফোটে বাগদাদির শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর