বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই সর্বত্র দীপাবলির (Diwali) আবহ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, চতুর্দিক সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইতে। মূলত, আলোর এই উৎসবে মেতে উঠতে সবাই তাঁদের বাড়িটিকেও ভালোভাবে সাজিয়ে নেন। মনে করা হয় যে, দীপাবলির দিন আলো প্রজ্জ্বলিত করলে জীবন থেকে ঘুচে যায় সমস্ত অন্ধকার। পাশাপাশি, রক্ষা পাওয়া যায় অশুভ শক্তির হাত থেকেও।
এমতাবস্থায়, সবাই তাই এই বিশেষ দিনটিতে নিজেদের মত করে ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি, বাড়ির বিভিন্ন জিনিসপত্রেরও স্থান বদল করা হয়। তবে, বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রে আবার কয়েকটি বিষয় মাথায়ও রাখতে হয়। নাহলে, বাস্তুগত দিক থেকে সেগুলি আবার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রসঙ্গে বাস্তু বিশেষজ্ঞ অশিমা শর্মা কিছু উপায় অবলম্বন করার পরামর্শ জানিয়েছেন।
মাথায় রাখুন এই পরামর্শগুলি: ১. বাড়ি সাজাতে গিয়ে কখনও কোনো যুদ্ধ বা লড়াইয়ের ছবি দেওয়ালে লাগাবেন না। এতে ঘরে অশান্তি বৃদ্ধি পায়।
২. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে বাথরুম তৈরি করবেন না।
৩. বেডরুমের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা দক্ষিণ এবং পশ্চিম দিকটি সবচেয়ে ভালো।
৪. বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিকে নগদ টাকা রাখবেন না। এতে আপনার খরচ বৃদ্ধি পাবে।
৫. ঘরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত আলমারিতে নগদ টাকা এবং গয়না রাখুন। এতে আপনার সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, পূর্ব দিক থেকে এটির দরজা খুলুন।
৬. বাড়ির রান্নাঘরে গ্যাসের চুল্লিটি সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখুন। এতে রোগ প্রতিরোধ হবে এবং বাড়িতে ইতিবাচক শক্তির ভূমিকা বজায় থাকবে।
৭. আপনার ব্যবহৃত জুতো বা বাড়ির ডাস্টবিন কখনোই পশ্চিম দিকে রাখবেন না। এটি আপনার ব্যবসার বৃদ্ধিকে বন্ধ করতে পারে।
৮. মানি প্ল্যান্ট কখনোই উত্তর-পূর্ব দিকে রাখবেন না। কারণ, ওই গাছের জন্য এই দিকটি সবচেয়ে নেতিবাচক। এতে বাড়িতে ক্ষতির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৯. মনে রাখবেন, ঘরের তিনটি দরজা কখনোই এক সরলরেখায় হওয়া উচিত নয়। পাশাপাশি, বাড়িতে এমন কোনো কল থাকা উচিত নয়, যেটিতে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে।
১০. বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিক থেকে জল নিষ্কাশিত করলে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তা শুভ হবে। বাড়ি তৈরির সময় এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
১১. বাড়ির প্রবেশপথের কাছে ডাস্টবিন বা জুতো রাখার জায়গা স্থাপন করা থেকে বিরত থাকুন।