বাংলাহান্ট ডেস্কঃ টার্গেট ছিল ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বাংলা দখল। কিন্তু ফলাফলের পর সেই স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ হয়ে যায় বিজেপি শিবিরের। বাংলায় জ্বলে ওঠে হিংসার আগুন। তবে বাংলায় বিজেপির এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনধিকার হস্তক্ষেপকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)।
শনিবার বিজেপির দলীয় বৈঠকে এক বিজেপির নেতার দাবি, ‘ভিনরাজ্য থেকে নেতাদের নিয়ে আসার ফলেই এই পরিণতি হয়েছে। আমাদের এখানে কি নেরাদের অভাব ছিল নাকি? দিলীপদার স্পষ্ট কথা- আমরা দিল্লীর কোন শাসন এখন মানবো না। নাহলে যা পরিস্থিতি তাঁদের আমাদের ৭৭ আসনের সাফল্য ফিকে হয়ে যাচ্ছে’।
ভোট পরবর্তীতে উত্তপ্ত বাংলার পরিস্থিতির জন্য বারংবার দিল্লীর নেতৃত্বরা মমতা ব্যানার্জিকে দায়ী করেছেন। কিন্তু এবিষয়ে ঠিক একমত হতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। আবার বঙ্গ বিজেপির দাবী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা বারবার বাংলায় আসার ফলে তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তকমা বেশি প্রভাব ফেলেছে বাংলার মানুষের উপর। যার কারণেই মানুষ তৃণমূলকেই বেছে নিয়েছে।
বর্তমান সময়ে বিজেপির হারের পেছনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের বাংলায় অনধিকার হস্তক্ষেপকেই দায়ী করছে বঙ্গ বিজেপির শিবির। সেইসঙ্গে তাঁদের প্রধান লক্ষ্য এখন, বাংলায় শান্তি ফেরানো এবং আক্রান্ত বিজেপির কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানো।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘আমার কাছে দিল্লীর নেতৃত্ব জানতে চেয়েছিল, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়ে তাঁরা কিভাবে সাহায্য করতে পারে। আমি ওদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি- এতদিন ধরে আপনাদের থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এবার আমাদের সবটা বুঝে নিতে দিন’। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর গোটা বৈঠকে জুড়েই হাততালির ঝড় ওঠে।