বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্ষুধার্ত চিতাবাঘের সাথে এক বৃদ্ধার অসম লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল ধূপগুড়ির সোনাখালির জঙ্গল। বছর পঁয়ষট্টির এই বৃদ্ধার মানসিকতাকে অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। ৬০ পেরিয়ে যাওয়া এই বৃদ্ধা এখন যেন অনেকের কাছে ব্ল্যাক হর্স। ফতেমা বিবি থাকেন সোনাখালির জঙ্গলের পাশের একটি গ্রামে।
এই বৃদ্ধা বৃহস্পতিবার দুপুরে গরু চরাতে যান সোনাখালির জঙ্গলে। সেখানেই জঙ্গলের আলো আঁধারি পরিবেশে দেখতে পান জলজ্বল করা দুটো চোখ। পরমুহূর্তেই ওই বৃদ্ধার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই জ্বলন্ত দুটি চোখের অধিকারী অর্থাৎ ক্ষুধার্ত একটি চিতা বাঘ। ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তার সাথে চিতা বাঘের প্রায় এক ঘন্টা ধরে লড়াই চলে।
আরোও পড়ুন : এবার বিপাকে রক্ষাকর্তারাই! নদীয়ায় গাছে বেঁধে পুলিশকর্মীদের বেধড়ক মার, কারণ জানলে চমকে উঠবেন
গরু চরাতে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বৃদ্ধার হাতে একটি দা ছিল। চিতা বাঘের সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি তার দা’টি কাছে পেয়ে যান। সেই দা দিয়ে চিতা বাঘের উপর কোপ মারেন বৃদ্ধা। দায়ের আঘাতে পিছু হটে চিতা বাঘটি।
আরোও পড়ুন : ১০ দিনে ১১ কোটি! কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা জমল কোষাগারে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর বিপুল অর্থপ্রাপ্তি
রক্তাক্ত হয় বাঘটি। তারপর বাঘটি জঙ্গলের মধ্যে চলে যায়। এই লড়াইয়ে বৃদ্ধাও রক্তাক্ত হয়েছেন। এরপর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পাশের একটি রাস্তায় আশ্রয় নেন। সেই সময় এক ব্যক্তি বৃদ্ধাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। এই ব্যক্তি বৃদ্ধাটিকে উদ্ধার করে পৌঁছে দেন বাড়ি। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে যাওয়া হয় ধুপগুড়ি হাসপাতালে।
সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃদ্ধাকে স্থানান্তরিত করা হয় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে। বৃদ্ধার কথায়, ‘হঠাৎই চিতাবাঘটি এসে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার পিঠে ঘাড়ে পেটে আঁচড় দেয়। এরপর আমার হাতে থাকা দা দিয়ে চিতাবাঘটিকে আঘাত করি এবং তখন সেটি পালিয়ে যায়।’