বাংলাহান্ট ডেস্ক : কার্শিয়াং এবং কালিম্পং দার্জিলিং এর খুব কাছেই অবস্থিত। তাই যারা দার্জিলিং ঘুরতে যান, তারা অবশ্যই ঘুরে আসেন কার্শিয়াং এবং কালিম্পং থেকে। তবে অনেক পর্যটকই জানেন না কার্শিয়াং-এ এমন একটি জায়গা রয়েছে যেটি ভূতুড়ে বলে বিখ্যাত। আমরা কথা বলছি ডাওহিল সম্পর্কে। এখানে রয়েছে একটি ইকো চিলড্রেন পার্কও।
প্রধানত লেপচা জনজাতির মানুষেরা বসবাস করেন কর্শিয়াং-এ। এছাড়াও এখানকার অর্কিড খুবই বিখ্যাত। অনেকেই অর্কিডের স্বর্গ রাজ্য বলে থাকেন কর্শিয়াংকে। এই ডাওহিলের সাথে বিভিন্ন ভুতুড়ে গল্প জড়িয়ে রয়েছে। এখানকার পাহাড়ি রাস্তা একদিকে যেমন মনোরম, অন্যদিকে খুবই ভয়ংকর। ভয়ংকর শব্দটি উচ্চারণ করা এই অর্থে যে এই রাস্তাটি বেশ হন্টেড।
আরোও পড়ুন : শেয়ারের মূল্য ১০০ কোটিরও বেশি! তবুও আটপৌরে জীবনচর্চাতেই অভ্যস্ত এই বৃদ্ধ, চেনেন নাকি এনাকে ?
এই রাস্তা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন ভুতুড়ে গল্প। এইখানকার রাস্তায় পা দিলেই ছমছম করে উঠবে গা। স্থানীয়রা দাবি করে থাকেন ডাওহিলের সব থেকে ভুতুড়ে জায়গাটি হল ডেথ রোড। ডাওহিল থেকে ফরেস্ট অফিস যে রাস্তাটা দিয়ে যাওয়া হয় তাকেই ডেথ রোড বলা হয়। একাধিক ভুতুড়ে গল্প প্রচলিত রয়েছে এই রাস্তাকে ঘিরে।
আরোও পড়ুন : এই ৫টি গাছেই হবে কেল্লাফতে! এবার ঘরের ধারেকাছেও ঘেঁষবে না মশা
অনেকেই দাবি করেছেন এই রাস্তায় তারা নাকি মুন্ডুহীন এক বালককে হেঁটে চলে বেড়াতে দেখেছেন। আবার অনেকে বলেন ডাওহিলে বাইরের পর্যটক প্রবেশ করলেই তাদের দুটি লাল চোখ ধাওয়া করে বেড়ায়। এছাড়াও শোনা যায় বহু মানুষ এখানে এসে আত্মহত্যা করেছেন। আবার অনেকের দাবি এই রাস্তায় তারা দেখতে পেয়েছেন এক রহস্যময় নারীকে।
আবার অনেক স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই রহস্যময়ী নারীকে দেখলেই তার পেছনে সম্মোহিত হয়ে ধাওয়া করেন অনেকে এবং তারপর খাদে পড়ে মৃত্যু হয় তার। এসব কিছু নিয়ে এক ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে সমগ্র ডাওহিল জুড়ে। আপনারা যদি পাহাড়ের অপরূপ ভ্রমণের পাশাপাশি কিছুটা গা ছমছমে অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে চান, তাহলে দার্জিলিং ভ্রমণে গেলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসুন ডাওহিল থেকে।