বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ জন্মদিন তাঁর। সেই বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ির চলমান ক্লিনিকে ডক্টর্স ডে-র দুদিন আগে গিয়ে দেখা গেল তাঁর ব্যবহৃত আসবাবপত্র অগোছালো, ধূলি ধূসরিত।
প্রসঙ্গত, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের উল্টোদিকে বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ি। সে বাড়িতে এখন ক্লিনিক চলে। সেই ক্লিনিকের দৌলতেই পরিচয় এ বাড়ির। চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়ের বাড়ি হিসেবে একে চেনেন, এমন এলাকাবাসীর সংখ্যা এখন নেহাৎই হাতে গোণা। অথচ এ বাড়ি হেরিটেজ বিল্ডিং বলে ঘোষিত। এমনকী জানা গেল এ বছর বিধান রায়ের জন্মদিনের আগে তাঁর মূর্তিটি সংস্কারের ‘বাজেট নেই’।
এই বাড়িতেই বিধানচন্দ্র রায় চিকিৎসা করতেন বিনামুল্যে। বাড়ির মধ্যেই গড়ে তুলেছিলেন একটি ল্যাবরেটরি। সেকালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের ভিড় জমত এখানে। সমাজসেবার খানিকটা দায়ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। ক্লিনিকের এক আধিকারিকের মতে, সেসব দিন আর কোথায়!
ক্লিনিকে যেসব ডাক্তাররা এখনও আসেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম দন্ত চিকিৎসক ড: পি বন্দোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ‘‘এখানে যাঁরা আসেন, তাঁদের বেশিরভাগই সরকারি চিকিৎসক। সরকারের উচিত আরও শক্ত করে হাল ধরা।’’ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড: এস মুখার্জি জানালেন, ভালোবাসার টানে সপ্তাহে দু-বার যাই। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম কী করবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’’ তিনিও মনে করছেন পরিকাঠামোর উন্নতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।