করোনা আতঙ্কের মধ্যে স্বস্তির খবর শোনালেন ICMR এর মুখ্য বিজ্ঞানী ডঃ গঙ্গাখেডকর

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্ব এখন করোনা (COVID-19) ভয়ে আতঙ্কিত। চীন (Chaina), স্পেন, ইতালি, আমেরিকাতে এই ভাইরাস ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। এই সংকটের সময় ভারতে (India) এই ভাইরাস দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে বিস্তার লাভ করার আগেই ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করেন।

নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দেশ জুড়ে জারি করা হয় লকডাউন অবস্থা। এই পরিস্থিতির মধ্যে মানুষজনকে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশের এই সংকটের মুহূর্তে ভারতে এই ভাইরাস তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখলেন ICMR এর প্রধান বৈজ্ঞানিক ডঃ গঙ্গাখেডকর।

করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ICMR এর প্রধান বৈজ্ঞানিক ডঃ গঙ্গাখেডকর জানালেন, ‘ভারতে এই মারণ ভাইরাস যাতে দ্বিতীয় ধাপ থেকে তৃতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই জন্য সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এখনও এই রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন, তাঁদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাই এখনই অযথা আতঙ্কিত হবার কিছু নেই’। চিকিৎসা বিষয়ে তিনি জানান, ‘আইসলেশনে কোন পরিবর্তন আসেনি। তবে একসঙ্গে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয়ে সরকার সবরকম চেষ্টা করছে, কোন ত্রুটি রাখছে না।’

‘ভারতে এই টেস্ট ভালো ভাবেই করা হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি চাইলে নিজে থেকেই গিয়ে টেস্ট করাতে পারে। এখানে গোপন করার কোন কিছু নেই। রোগ লুকিয়ে রাখলে, তা কিন্তু কমবে না, উল্টে বেড়েই যাবে। এতে লজ্জার কিছু নেই। আবার অনেকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকারও ভয় পান। কিন্তু আমি বলব সমস্যা হলে, নিজে থেকেই আসুন। রোগটা নিজের মধ্যে আটকে না রেখে চিকিৎসা করুন। এতে আপনার এবং আপনার পরিবারের পক্ষে ভালো’ জানালেন তিনি।

করোনা পরীক্ষার বিষয়ে তিনি জানালেন, ‘অ্যান্টিবডি টেস্ট হল, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি গঠিত হয়েছে কিনা, তা দেখার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। এটা খুবই সাধারণ একটা পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষায় রিপোর্ট অনেক দেরিতে পজেটিভ আসে। তবে এই পরীক্ষা পলিমারেজ চেন রিয়াকশন পরীক্ষার থেকেও অনেক সহজ।অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা রোগীর শরীরে করোনা ভাইরাস আছে কিনা সহজেই জানতে পারি। রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ আসলে, রোগীকে সামান্য চেকআপ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর করোনা পজেটিভ আসলে রোগীকে কোয়ারেন্টিন থাকতে বলা হয়। এইভাবে ব্যক্তি আক্রান্ত হলে সহজেই চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করা সম্ভব হয়’।

সম্পর্কিত খবর

X