বাংলাহান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যে পঠন পাঠনে যাতে বিঘ্ন না ঘতে, সেই কারণে বইয়ের কিউআর কোড (qr code) তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন মালদার (malda) শিক্ষক হরিস্বামী দাস (Dr. Hariswami Das)। এবার ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নেবেন শিক্ষক হরিস্বামী দাস।
করোনা আবহে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মডেল তুলে ধরেছেন মালদহের শোভানগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস। তাঁর তৈরি করা এই কিউআর কোড ব্যবহার করে, অর্ধেক ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে এসে পঠন পাঠন করলেও, বাকিরা বাড়িতে বসেই ক্লাস করতে পারবেন।
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর, সহ-শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস। এই লকডাউনের সময় ছাত্রছাত্রীরা যাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত না হয়ে পড়ে, তাঁরা যাতে সুস্থ স্বাভাবিক ভাবেই থাকতে পারে, সেই কারণে কাউন্সেলিংয়ের কাজও করেন।
এই সময়কালে পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে থেকেই স্কুলের মত করেই পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারে, এবার সেই বিষয়ের উপরই চিন্তা ভাবনা শুরু করেন হরিস্বামী দাস। আর সেই পন্থা বের করতে গিয়ে, তৈরি করে ফেললেন বইয়ের কিউআর কোড। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি বইয়ের কিউআর কোড তৈরি করে ফেলেছেন এই শিক্ষক। যার ফলে সকলে একসঙ্গে স্কুলে না এলেও, মোবাইলের মাধ্যমে সব বইই পড়তে সক্ষম হবেন পড়ুয়ারা।
তাঁর এই অভিনব উদ্যোগের জন্য, দিল্লী থেকে এই শিক্ষকের নাম মনোনীত করা হয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায়। আর সেই কারণে আগামী ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে পুরস্কার নেবেন শিক্ষক হরিস্বামী দাস। এই বিষয়ে অভিভূত শিক্ষক হরিস্বামী দাস জানিয়েছেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকায় এইভাবে অনলাইনে ক্লাস, সেমিনার সব করেছি। বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। তবে এভাবে এই স্বীকৃতি মেলায়, খুবই গর্ব বোধ করছি’।