বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিমি চক্রবর্তী (mimi chakraborty) ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (anirban bhattacharya) অভিনীত ‘ড্রাকুলা স্যার’ (dracula sir) এর ঘোষনার সময় থেকেই চমকের পর চমক দেখিয়ে চলেছেন ছবির নির্মাতারা। প্রথমে কৌতূহল জাগানো পোস্টার ও এবারে একই রকম রহস্যে ঢাকা ট্রেলার (trailer)। ড্রাকুলা স্যারকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ দিনদিন চড়ছে দর্শকের।
কিছু কিছু ছবির ক্ষেত্রে ট্রেলার থেকেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যায় ছবির গল্প। কিন্তু সেই থিয়োরি ড্রাকুলা স্যারের ক্ষেত্রে একেবারেই খাটবে না। ২ মিনিটের ট্রেলারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোড়া রহস্যে। মাঝে মাঝে ছেঁড়া ছেঁড়া কয়েকটি চরিত্রের আনাগোনা ও আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপটের দৃশ্য।
অমল, রক্তিম, মঞ্জরী তিনটি চরিত্রের নাম উঠে এসেছে ট্রেলারে। রয়েছে দুটি সময়ের প্রেক্ষাপট। ১৯৭১ ও ২০২০। সত্তরের দশকে অমল সোম ওরফে অনির্বাণকে দেখা যায় কোনো গোপন আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিপ্লবী হিসাবে। একটি দৃশ্যে দেখা যায় তাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন মঞ্জরী ওরফে মিমি চক্রবর্তী। এরপর জেলের ভেতরে কয়েকটি অত্যাচারের দৃশ্য, অমল সোমের কবর সবই উঠে আসে ক্ষণিকের জন্য।
এবার প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন। বর্তমান সময়ে একটি প্রাইমারি স্কুলে টেম্পোরারি বাংলার শিক্ষক হিসাবে দেখা যায় অনির্বাণকে। সামনে দুটি বড় দাঁতের জন্য তাঁকে ছাত্ররা ড্রাকুলা স্যার বলে ডাকে। আবার কয়েকটি দৃশ্যে বিদীপ্তার সঙ্গে দেখা গিয়েছে অনির্বাণকে।
রহস্যের জাল ঘনীভূত করেছে বেশ কয়েকটি দৃশ্য। অনির্বাণের মুখে “শেষের পরেও কিকরে সব মনে রাখা যায়” সংলাপটি শুনে সন্দেহ জাগে ছবিতে জন্মান্তর বা জাতিস্মরের বিষয় রয়েছে কিনা। কিছু কিছু দৃশ্যে নিজেকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলেছেন অনির্বাণ। কথাটি কি অমর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে? রুদ্রনীল ঘোষের চরিত্রটিও বেশ রহস্যময়।
সব মিলিয়ে বলা যায় প্রেক্ষাগৃহ পর্যন্ত রহস্য জিইয়ে রাখতে সক্ষম ড্রাকুলা স্যারের নির্মাতারা। তবে আর বেশি দিন অপেক্ষা নয়। পুজোতেই মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। যদিও ১ লা মে তেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ড্রাকুলা স্যারের, কিন্তু লকডাউনের জন্য তা পিছিয়ে যায়।
দেবালয় ভট্টাচার্য্যের পরিচালনায় এই ছবিই সাংসদ হওয়ার পর বড়পর্দায় মিমির প্রথম কাজ। টিজারে অভিনেত্রীকে দেখেই বোঝা গিয়েছিল বেশ অন্যরকম একটি চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে এবার তাঁকে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা ‘ড্রাকুলা স্যার’ এর।