বাংলা হান্ট ডেস্ক : শহর এবং শহরতলীতে জল নিকাশি বা নোংরা আবর্জনা ফেলার জন্য ড্রেনের (Drain) ব্যবস্থা থাকলেও গ্রামঞ্চলে এই ব্যবস্থা খুবই খারাপ। বাংলার অধিকাংশ গ্রামেই নেই কোনও ড্রেনের ব্যবস্থা। আর যদিও বা কোথাও কেন্দ্র থেকে এইসব কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে তো সেখানেও লেগে রয়েছে কাটমানির গল্প। আর সম্প্রতি এমনই একটা ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিজেপি (BJP) নেতা সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)।
এইদিন নিজের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। যেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু শ্রমিক রাস্তার পাশে ড্রেনের কাজ করছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে, এটা তো খুবই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু ভিডিওটি একটু ভালো করে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, ঐ ড্রেনের গোড়াতেই রয়েছে বড় রকমের গলদ।
আসলে ড্রেন তৈরি হচ্ছে বটে তবে সেই ড্রেনে কোনও রড নেই। শুনতে খানিক অবাক লাগলেও হালফিলের বাংলায় সবই সম্ভব। এই যেমন কিছুদিন আগেই খবর মিলেছিল, রডের বদলে শোকপিট তৈরি হচ্ছে বাঁশের ফালি দিয়ে! আর তাও কী না আবার বাচ্চাদের অঙ্গনওয়াড়িতে। বিপজ্জনক এই ঘটনাটি ঘটেছিল কোতুলপুর ব্লকের লেগো গ্রাম পঞ্চায়েতে। যা নিয়ে কম হুলুস্থুল হয়নি বাঁকুড়ার এই ব্লকে! আর এবারও কাঠগড়ায় সেই ‘কোতুলপুর’।
আরও পড়ুন : নেপথ্যে কোনও বড় নেতা? কামারহাটি পুরসভার কোটিপতি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা, ED-র হাতে বড় তথ্য
সূত্রের খবর, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর বিধানসভার জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির হেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। কেন্দ্রের তরফে বরাদ্দ টাকা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে একটি পাকা ড্রেন। তবে অবাক করা বিষয় হল সেই ড্রেনে কোনও রড নেই। এমন রড বিহীন ড্রেন ঠিক কতদিন টিকবে এবং সেটা আদৌ মানুষের কোনও কাজে আসবে কী না, তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র খাঁ। সেই সাথে বিজেপি নেতার তাৎপর্যপূর্ণ প্রশ্ন, ড্রেনের জন্য বরাদ্দ টাকাটাই বা গেল কোথায়?
আরও পড়ুন : ধোপে টিকবে না জোট! এখনই লোকসভা ভোট হলে বাংলায় এতগুলি আসন পাবে BJP, চাপে তৃণমূল
সৌমিত্র খাঁ তার পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ৫০% টাকা দিয়ে কোতুলপুর বিধানসভার জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির হেতিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে পাকা ড্রেন হচ্ছে বগলদিঘী বকুলতলা থেকে বিদ্যুৎ দে’র বাড়ি পর্যন্ত। ভালো কথা, কিন্তু এমন ড্রেন হচ্ছে যেটা রড বিহীন। রড বিহীন ড্রেন কী করে সম্ভব? এই ড্রেন তো বেশিদিন টিকবে না। তাহলে কি সব টাকাটাই যিনি ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আছেন উনি আত্মসাৎ করে নিলেন? সাধারণ মানুষ জানতে চায়। আপনারা তো টাকা দিলেনই না বরং কেন্দ্র সরকারের টাকা টাও হজম করে নিলেন।’