বাংলাহান্ট ডেস্ক: সামরিক প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নতি করছে ভারত। আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্র সামিল হয়েছে সেনাবাহিনী থেকে নৌবাহিনী সর্বত্র। সম্প্রতি ভারত ‘অগ্নি-৫’ মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এই প্রযুক্তিগত উন্নতির নেপথ্যে রয়েছে ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও (DRDO)। এ বার তারা এমন একটি জিনিস তৈরি করেছে যা শত্রুর ঘুম উড়িয়ে দিতে বাধ্য।
রণনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নিঃশব্দে নজরদারি চালানো। এর জন্য দেশে একাধিক ড্রোন ও অস্ত্র তৈরি হয়েছে যা শত্রুর রাডার এড়াতে সক্ষম। এ বার ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের ইঁদুর তৈরি করেছেন যা সামরিক বাহিনীকে নজরদারি চালাতে সাহায্য করবে।
এগুলিকে বলা হয় ‘র্যাট সাইবর্গ’ (Rat Cyborg)। অর্থাৎ এগুলি আধা জন্তু ও আধা রোবট। এগুলির সাহায্যে লুকিয়ে থাকা শত্রুর উপর কড়া নজরদারি চালানো হবে। দেশে ২৬/১১-র মতো কোনও হামলা হলে এর মাধ্যমে সহজেই শত্রু দমন করতে পারবে বাহিনী। এই ইঁদুরের মস্তিষ্কে এক ধরনের বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে এরা বাইরে থেকে সিগন্যাল পেতে সক্ষম।
এছাড়াও এই ইঁদুরের মধ্যে ছোট্ট একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে কোথাও গেলে ছবি তুলতে পারে। সেই ছবি দেখে সামরিক বাহিনী শত্রু সম্পর্কে সহজেই ধারণা করতে পারবে। ফলে শত্রু দমন আরও সহজ হবে। এই র্যাট সাইবর্গ তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন হায়দরাবাদের একদল যুব-বিজ্ঞানী। ইঁদুরগুলি জ্যান্ত হওয়ায় এগুলিকে কোনও বাড়ির ভিতর ঢুকিয়ে দিলে এরা সহজেই শত্রুর থেকে বাঁচতে পারবে। একইসঙ্গে সেনার করতে থাকবে।
এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীরা ইঁদুরগুলিকে বাহ্যিক সংকেত ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রোডের মাধ্যমে ইঁদুরগুলিকে সংকেতের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন ডিআরডিও-র যুব বিজ্ঞানী গবেষণাগারের ডিরেক্টর পি শিবপ্রসাদ। ডিওয়াইএসএল আরও বিশেষায়িত রোবটের বিকল্প খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফল হল এই র্যাট সাইবর্গ।