বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে শুরু থেকেই উদ্যোগী মোদী সরকার। আত্মনির্ভর ভারতের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। সেই সূত্র ধরেই এবার ভারতীয় সেনার হাতে এক বড় উপহার তুলে দিতে চলেছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। ডিআরডিওর উদ্যোগে এর আগেই ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য তৈরি হয়েছিল অত্যাধুনিক শাফ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রণতরীগুলিকে বাঁচানো সম্ভব।
এবার ভারতীয় বায়ুসেনার জন্যেও একই রকমের অত্যাধুনিক শাফ প্রযুক্তি তৈরি করল ডিআরডিও। জানা গিয়েছে এই প্রযুক্তির তিনটি ভাগ রয়েছে নিকট পাল্লা, দূরপাল্লা এবং মাঝারি পাল্লার শাফ রকেট। এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত বেতার-তরঙ্গ নির্ভর। এটি সমস্ত ধরনের রেডার গাইডেড মিসাইলকে দিকভ্রান্ত করতে সাহায্য করে। যার ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। জানা গিয়েছে আরব সাগরের ইতিমধ্যেই এর পরীক্ষা করা হয়েছে, সেই পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট নৌ বাহিনী।
ভারতীয় বায়ুসেনাও এর ইউজার ট্রায়ালে সন্তুষ্ট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তরফে জানানো হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব এটিকে বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। প্রতিপক্ষের রেডার গাইডেড মিসাইলকে দিকভ্রষ্ট করছে যতখানি শাফ ব্যবহার করা দরকার ঠিক ততটাই ব্যবহার করবে বায়ুসেনা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি নির্মিত হয়েছে যোধপুরের গবেষণাগারে।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে এই বর্তমান বৈদ্যুতিন রণকৌশলের যুগে যুদ্ধবিমানকে রক্ষা করা রীতিমতো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ সময় আধুনিক প্রযুক্তির কারণে তরঙ্গ গুলি অত্যন্ত তীব্র। তবে এই শাফ প্রযুক্তি এক্ষেত্রে রীতিমতো কার্যকরী হয়ে উঠতে পারে। তাই বায়ুসেনার কথা মাথায় রেখে বিপুল পরিমাণ এই শাফ উৎপাদনের সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।